স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইইই-ডে উদ্‌যাপন

ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ইইই-ডে উদ্‌যাপনের অংশ হিসেবে দিনব্যাপী প্রজেক্ট প্রদর্শনী ও পোস্টার প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়
ছবি: বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর

‘টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা ও স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে রাজধানীর উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ইইই-ডে উদ্‌যাপিত হয়েছে। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে আয়োজিত এ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ইয়াসমিন আরা।

উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে উদ্‌যাপিত হয়েছে ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ইইই-ডে
ছবি: বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর

উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বের আলোচনায় শিল্পব্যক্তিত্ব ও শিক্ষাবিদদের সমন্বয়ে একটি ‘টেকনিক্যাল টক’-এর আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য দেন ইউনাইটেড শক্তি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. তাজমীর আলম ও ঢাকা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. আবদুল মান্নান। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তড়িৎ প্রকৌশল বিদ্যার বিস্তার ও গুরুত্ব নিয়ে এই পর্বে আলোচনা করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইয়াসমিন আরা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে বলেন, ‘বিজয়ের এই মাসে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের প্রতি আরও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। যাতে স্মার্ট বাংলাদেশের দক্ষ জনগোষ্ঠীর কাতারে প্রথম সারিতে থাকবে তোমরা।’ ইইই বিভাগের অত্যাধুনিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল অটোমেশন অ্যান্ড রোবোটিকস ল্যাব এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে স্মার্ট গ্রিড, স্মার্ট সিটি এবং আইওটি নিয়ে গবেষণামূলক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইইই বিভাগের অধ্যাপক মো. শাহরুখ আদনান খান। এতে উপস্থিত ছিলেন উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার, ভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিভাগীয় প্রধানেরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে দিনব্যাপী প্রজেক্ট প্রদর্শনী ও পোস্টার প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সেখানে ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের উদ্ভাবনী ও বিশ্লেষণাত্মক চিন্তা-ভাবনার স্বাক্ষর রাখেন। এ ছাড়া দিনব্যাপী আয়োজনে খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণের পর্ব রাখা হয়।