বিজয়ের পর তাঁদের অবদান মুছে ফেলার চেষ্টা হয়, অভিযোগ আলেম সমাজের

সাধারণ আলেম সমাজের ব্যানারে আলোচনা সভায় বক্তারা। জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা। ১ মার্চছবি: প্রথম আলো

বাংলাদেশের প্রতিটি গণ–আন্দোলনে যখন নৈতিক ভিত্তির প্রয়োজন হয়, তখন আলেম সমাজ সামনে এগিয়ে আসে। কিন্তু প্রতিবারই বিজয়ের পর তাঁদের অবদান মুছে ফেলার চেষ্টা হয়। ’২৪–এর গণ–অভ্যুত্থানেও একই চিত্র দেখা যায়। রাষ্ট্র সংস্কারে আলেম সমাজকে একটি মহল উপেক্ষিত করে রাখে, এবার সেই অন্যায় আর হতে দেওয়া হবে না।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে সাধারণ আলেম সমাজ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথাগুলো উঠে আসে। সভার শিরোনাম ছিল ‘১৩ থেকে ২৪ ফ্যাসিবাদের পতনে আলেম সমাজের রাজনৈতিক অবদান’।

সভায় আলোচকেরা বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ২০১৩ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ শোষণ ও ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের অধ্যায়। শাপলা চত্বরের গণহত্যা, ’২১ সালে মোদিবিরোধী আন্দোলনের দমন–পীড়ন, জেল-জুলুম, নির্যাতন এবং সর্বশেষ ’২৪–এর জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে আলেম সমাজের অবদান ছিল অনস্বীকার্য।

আলোচকেরা আরও বলেন, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা থাকলেও সংবিধান ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ঘোষণা করেছে। ফলে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে অবমাননা করলে যেমন রাষ্ট্রদ্রোহের শাস্তি হয়, তেমনি রাষ্ট্রধর্ম অবমাননা করলেও রাষ্ট্রদ্রোহের আওতায় আনতে হবে।

আলেম সমাজের আহ্বায়ক মুহাম্মদ রিদওয়ান হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মূল বক্তব্য পাঠ করেন সাধারণ আলেম সমাজের কেন্দ্রীয় সদস্য জাবির মুহাম্মদ হাবীব। বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান হামিদী।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, গণ অধিকার পরিষদের ফারুক হাসান, জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, মো. নিজাম উদ্দীন, জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আতিক মুজাহিদ, মাহিন সরকার, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী, রাষ্ট্রচিন্তক আলেম মুসা আল হাফিজ, মোহাইমিন পাটোয়ারী, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের জাহিদ আহসান, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রতিনিধি সুলতান মাহমুদ শরীফ।