হত্যা মামলা: সাবেক সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ৪ দিনের রিমান্ডে

কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী
ফাইল ছবি

প্রায় দুই বছর আগে রাজধানীর পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ও মকবুল নামের বিএনপির এক কর্মীকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন আজ বুধবার এই আদেশ দেন।

এর আগে আজ বিকেলে কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীকে আদালতে হাজির করে পল্টন থানায় করা এ হত্যা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ও মকবুল নামের বিএনপির এক কর্মীকে হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটনের জন্য আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।

অন্যদিকে কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীর আইনজীবী আদালতে লিখিতভাবে জানান, তিনি সরকারের সাবেক সচিব। সম্মানের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে তাঁকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি অসুস্থ ও বয়স্ক ব্যক্তি। অসুস্থ ও প্রবীণ বিবেচনায় তাঁকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করে জামিন দেওয়া হোক।

শুনানির সময় সাবেক সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী আদালতে বলেন, তিনি মামলার ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানেন না। তিনি সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি অসুস্থ।

উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব ও উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীকে গতকাল মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়।

২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ও মকবুল নামের বিএনপির এক কর্মীকে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ২৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মাহফুজার রহমান নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর পল্টন থানায় মামলাটি করেন।

আরও পড়ুন

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ডাকা এক দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনের কর্মসূচিতে যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতা-কর্মী ঢাকায় জড়ো হতে থাকেন। ৭ ডিসেম্বর বিকেলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার সাবেক প্রধান হারুন অর রশীদ, যুগ্ম কমিশনার মেহেদী হাসান ও বিপ্লব কুমারের নেতৃত্বে ৭০ থেকে ৮০ জন পুলিশ সদস্য বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। এ সময় আসামিরা বিএনপির কার্যালয়ের বিভিন্ন আসবাব, কম্পিউটার, নগদ অর্থ ও মুঠোফোন লুট করে নিয়ে যান। যার আনুমানিক মূল্য ৪৭ লাখ টাকা। অভিযানে বিএনপির কার্যালয় ও এর আশপাশে থাকা দলটির হাজার হাজার নেতা-কর্মীর ওপর হামলা চালানো হয়। একই সঙ্গে সেদিন মকবুল নামের এক বিএনপির কর্মীকে হত্যা করা হয়।