খালেদা জিয়ার কেবিনে ঢোকার চেষ্টাকালে আটক যুবককে রিমান্ডে চায় পুলিশ
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কেবিনে ঢোকার চেষ্টাকালে আটক যুবককে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আজ রোববার তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল শনিবার বিকেলে এভারকেয়ার হাসপাতালে সন্দেহভাজন হিসেবে সুজন (৩৪) নামের ওই যুবককে আটক করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে তাঁকে ভাটারা থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, সুজনের বাড়ি ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চর চাঁদপুরে। তিনি বেকার।
ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম আজ বেলা তিনটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, সুজনকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় (সন্দেহজনক) গ্রেপ্তার দেখিয়ে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ড মঞ্জুর হলে তিনি কেন এভারকেয়ার হাসপাতালে এলেন এবং কেনই–বা তিনি খালেদা জিয়ার কেবিনে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন, সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এর আগে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপির নেতা রিজভী বলেছেন, গতকাল খালেদা জিয়ার কেবিনে অপরিচিত ও সন্দেহভাজন যুবকের প্রবেশের চেষ্টা গভীর উদ্বেগজনক। হাসপাতালের মতো নিরাপদ জায়গায় থাকলেও তাঁর (খালেদা জিয়া) নিরাপত্তা কেন এত দুর্বল রাখা হয়েছে, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন এই নেতা।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ৯ আগস্ট থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে তাঁকে এখনো চিকিৎসকদের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখতে হচ্ছে।