বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি ব্যবস্থাপনায় রিসিভার নিয়োগ কেন নয়
বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি সংযুক্ত (অ্যাটাচ) করে সেগুলো ব্যবস্থাপনায় রিসিভার (সম্পত্তির তত্ত্বাবধায়ক) নিয়োগ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ রুল দেন।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডসহ গত ২৫ বছরে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির অন্য সব ব্যবসার ক্ষেত্রে ঋণ ও তা পরিশোধের তথ্যাদিসহ কয়েকটি বিষয় নিয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাসুদ আর সোবহান গতকাল বুধবার রিটটি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাসুদ আর সোবহান নিজেই শুনানি করেন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী ফাতেমা এস চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেদওয়ান আহমেদ রানজিব ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন।
পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাসুদ আর সোবহান প্রথম আলোকে বলেন, বিদেশে অর্থ পাচারের বিষয় রিটে আনা হয়নি। কারণ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার কথা ইতিমধ্যে জানিয়েছেন। রুলে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডসহ বেক্সিমকো গ্রুপ অব কোম্পানির ব্যবসা–সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের নেওয়া কী পরিমাণ ঋণ অপরিশোধিত আছে ও ঋণের বর্তমান অবস্থার তথ্যদি দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেদওয়ান আহমেদ রানজিব প্রথম আলোকে বলেন, বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রিটে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থসচিব, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা সালমান এফ রহমানকে বিবাদী করা হয়েছে।