ছিনতাইকারী ধরে পেটানো সেই ছাত্রীর মুঠোফোন উদ্ধার হয়নি
তিন দিন গেলেও ছিনতাইকারীকে ধরে পেটানো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মুঠোফোন উদ্ধার হয়নি। পুলিশ বলেছে, ছিনতাইয়ের পর থেকে মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তবে সেটির অবস্থান শনাক্ত করা গেছে। ফোন উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে মুঠোফোন উদ্ধার না হওয়ায় গবেষণা প্রতিবেদন জমা দিতে পারছেন না ওই শিক্ষার্থী। গবেষণার কাজে গত বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর সদরঘাট থেকে মিরপুর চিড়িয়াখানা গিয়েছিলেন তিনি। সারা দিন কাজ করে তানজিল পরিবহনের বাসে করে ফেরার সময় কারওয়ান বাজার এলাকা থেকে এক ছিনতাইকারী তাঁর মুঠোফোন ছিনিয়ে নেন। ওই ছিনতাইকারীকে ধাওয়া করে ধরতে পারেননি তিনি। তবে আরেকজনের মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর সময় এক ছিনতাইকারীকে ধরে ফেলেন। কৌশলে ওই ছিনতাইকারীর এক সহযোগীকেও আটক করা হয়। পরে দুই ছিনতাইকারীকে পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন ওই শিক্ষার্থী।
তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান আজ রোববার প্রথম আলোকে বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই শিক্ষার্থীর ছিনতাই হওয়া মুঠোফোন উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
এ ঘটনায় প্রথমে সাধারণ ডায়েরি করলেও আজ রোববার রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, দীর্ঘ এক বছর থেকে মিরপুর চিড়িয়াখানা থেকে বন্য প্রাণী হাতির ওপর গবেষণার তথ্য সংগ্রহ করছিলেন। মুঠোফোনে ওই সব তথ্য থাকায় এখন প্রতিবেদন তৈরিতে বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হয়েছে।
তাঁর গবেষণা প্রতিবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন আগামী বুধবার। এ পরিস্থিতি গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আমীর হোসেনের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। শিক্ষক তাঁকে বিভাগের চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করার পরামর্শ দিয়েছেন।
আমীর হোসেন আজ প্রথম আলোকে বলেন, তিনি সাহসিকতা দেখিয়েছেন। আবেদন করার পর চেয়ারম্যান সভা ডাকলে তাঁর গবেষণা প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় বাড়ানোর জন্য সুপারিশ করা হবে।