পুলিশ কর্মকর্তার কলেজপড়ুয়া ছেলেকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা, বরখাস্ত ৩ পুলিশ
সিলেট নগরে এক কলেজছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে অভিযুক্ত পুলিশের তিন সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট মহানগর পুলিশ এ কথা জানায়।
গত ২৪ নভেম্বর এই তিন পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়। এক সপ্তাহ আগে তাঁদের বরখাস্ত করা হলেও বিষয়টি আজ জানাজানি হয়।
এই তিনজন হলেন কনস্টেবল মো. ঝুনু হোসেন, ইমরান মিয়া ও মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। তাঁরা মহানগর পুলিশ লাইনসে কর্মরত ছিলেন। মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) সুদীপ দাস বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তিন কনস্টেবলের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এখন বিভাগীয় মামলাসহ যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ অক্টোবর অনলাইনে নিজের পুরোনো একটি মুঠোফোন বিক্রি করে ১৬ হাজার টাকা আয় করেন কলেজছাত্র সাইফুর রহমান (১৮)। তাঁর বাসা নগরের মেজরটিলা এলাকায়। মুঠোফোন বিক্রির টাকা নিতে ওই ছাত্র তাঁর এক বন্ধুকে নিয়ে মেজরটিলা থেকে বন্দরবাজার এলাকায় আসেন। টাকা নিয়ে তাঁরা দুজন শাহজালাল (রহ.) মাজার এলাকায় যান।
মাজার এলাকায় যাওয়ার পর পুলিশের অভিযুক্ত তিন কনস্টেবল সাইফুর ও তাঁর বন্ধুকে ঝাপটে ধরে তাঁদের কাছে ইয়াবা আছে বলে দাবি করেন। তাৎক্ষণিকভাবে সাইফুর ঘটনাটি তাঁর বাবাকে জানান। সাইফুরের বাবা আবু সায়েদ পুলিশ সদরদপ্তরে পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত। তিনি বিষয়টি সিলেট কোতোয়ালি থানাকে জানান।
তখন কোতোয়ালি থানার একজন উপপরিদর্শক (এসআই) ঘটনাস্থলে গিয়ে সাইফুর ও তাঁর বন্ধুকে থানায় নিয়ে আসেন। মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেন।
মহানগর পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই ঘটনার পর তিন কনস্টেবলের বিরুদ্ধে কলেজছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা ও টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পায়। এরপর গত ২৪ নভেম্বর ওই তিন কনস্টেবলকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।