শোকাবহ আগস্ট
একটি রক্তাক্ত দিনের সূচনা
১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর সপরিবার মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের পর এম সাখাওয়াত হোসেনের যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের বাড়িতে। হত্যাকাণ্ডের পর তিনি ছিলেন সেই রক্তাপ্লুত বাড়ির প্রথম প্রত্যক্ষদর্শী। প্রথমা প্রকাশন থেকে এ বছর বেরোনো তাঁর রক্তাক্ত দিনগুলো: ১৯৭৫-৮১: অভ্যুত্থান–পাল্টাঅভ্যুত্থান: প্রত্যক্ষদর্শীর অভিজ্ঞতা নামের বইয়ে আছে সে দিনের অভিজ্ঞতার রোমহর্ষক বিবরণ। বইটির ‘মৃত্যুপুরী বঙ্গবন্ধুর বাড়ি’ অধ্যায় থেকে পাঠকদের জন্য সে অভিজ্ঞতা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে। আজ প্রকাশিত হলো লেখাটির প্রথম পর্ব।
গাড়িতে বসে ভাবছিলাম মেজর বজলুল হুদার কথা। তাঁর সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় ১৯৭৩ সালে, পাকিস্তান থেকে প্রত্যাবর্তনের পর যখন কুমিল্লায় প্রথম আর্টিলারি ইউনিটে নিয়োজিত হই, তখন তিনি অ্যাডজুট্যান্ট। হুদা আমার চেয়ে অপেক্ষাকৃত জুনিয়র অফিসার।
মুক্তিযুদ্ধের কোনো এক পর্যায়ে হুদাও ডালিমের সঙ্গে পাকিস্তান থেকে পালিয়ে আসার পর মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং দুই বছরের জ্যেষ্ঠতা পান। ১৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের আগে তিনি সেনাসদরে সামরিক গোয়েন্দা পরিদপ্তরে নিয়োজিত ছিলেন। কয়েক দিন আগেও সেনানিবাসে তাঁর সঙ্গে আমার দেখা হয়। এর বেশ কিছুদিন আগে তিনি আমার বাসায় আসেন এবং অনেকক্ষণ পর্যন্ত থেকে চলে যান।
আমার মনে পড়ল যে আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে প্রথম ফিল্ড আর্টিলারি ইউনিটকে রাষ্ট্রপতির বাসভবনের পাহারায় সেনাসদর থেকে নিয়োগ করা হয় আর সে জন্য প্রথম ফিল্ড আর্টিলারির প্রায় এক কোম্পানি সমপরিমাণ সৈনিককে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আনা হয়। যেহেতু এরা ঢাকার বাইরের সৈনিক, তাই তাঁদের যাবতীয় দায়িত্ব বর্তায় ঢাকা লগএরিয়ার অধীন ঢাকা স্টেশন হেডকোয়ার্টারের ওপর। তখন স্টেশন কমান্ডার ছিলেন লে. কর্নেল হামিদ (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত)।
প্রসঙ্গত, তখন রাষ্ট্রপতির জন্য এখনকার মতো পৃথক কোনো গার্ড রেজিমেন্ট ছিল না। আমি বুঝতে পারলাম, ঘটে যাওয়া ঘটনার সঙ্গে হুদার যোগাযোগটা ঘটে আর্টিলারি ইউনিটের মাধ্যমে। আর এই ইউনিটেরই ডিউটি পড়ে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে সামরিক প্রহরার জন্য, যেখানে বঙ্গবন্ধু সপরিবার থাকতেন। যেহেতু হুদা আর ডালিম মুক্তিযুদ্ধের সময়ে সংগঠিত এই রেজিমেন্টে শুরু থেকেই চাকরি করছেন, স্বভাবতই প্রায় সব সৈনিকই তাঁদের অনুগত ছিল।
আমার এ ধারণা আরও পোক্ত হলো যখন আরও পরে হুদার মুখেই শুনেছিলাম যে ১৫ আগস্ট ভোরে হুদাই এসে পাহারারত সৈনিকদের তাদের করণীয় সম্বন্ধে সবকিছু বুঝিয়ে দেন। আমার সন্দেহ আরও দূর হয় যখন সেদিন বঙ্গবন্ধুর বাড়ির গেটে পৌঁছার পর হুদা আমার পরিচয় সৈনিকদের জানিয়ে প্রধান ফটক খুলে দিতে বললেন। হুদা আর মেজর পাশা (অভ্যুত্থানের অংশগ্রহণকারী আর একজন অফিসার) সম্পর্কে শ্যালক–ভগ্নিপতি। হুদা আমাকে গেটের সামনে রেখেই আর কোনো কথা না বলে বের হয়ে যান। কিন্তু এখানে তার আগের কথা একটু বলে নিই।
হতবিহ্বল নগরী
আমি সেনানিবাসের প্রধান ফটক পেরিয়ে, যা থার্ড গেট (বর্তমানে জাহাঙ্গীর গেট) নামে পরিচিত, এয়ারপোর্ট রোডে (বর্তমানে ভিআইপি রোড) উঠে দেখলাম, সমস্ত রাস্তা জনমানবশূন্য, কোনো গাড়িও চলছে না। কেবল কিছু কৌতূহলী মানুষ কোনো সামরিক গাড়ি বের হলেই উঁকি মারছে। রাস্তায় যে দু-চারজনকে দেখলাম, তাদের সবাই বেশ হতভম্ব আর আতঙ্কগ্রস্ত।
মনে হলো, ঘটনার আকস্মিকতায় হতবিহ্বল মানুষ ঘরের বাইরে আসার সাহস সঞ্চয় করতে পারছে না। সেনাবাহিনীর গাড়ি দেখে বেশ শঙ্কিত মনে হলো তাদের। চারদিকে কেমন যেন এক অজানা আশঙ্কার ছোঁয়া। অথচ বের হওয়ার আগে মনে এ রকমের একটা শঙ্কা ছিল যে রাস্তায় হয়তো বঙ্গবন্ধুর ভক্ত আর তাঁর দলের সমর্থকদের প্রতিবাদ মিছিল বা বিক্ষোভ করতে দেখব কিংবা তাঁদের হাতে ইটপাটকেল খাব। আমি সে শঙ্কা থেকেই গাড়ি বেশ সাবধানে চালাতে বলেছিলাম। কিন্তু তেমন কিছুই দেখা গেল না। নির্দ্বিধায় ফার্মগেট পর্যন্ত পৌঁছালাম।
আমার অত্যন্ত পরিচিত, ঘনিষ্ঠ, বয়োজ্যেষ্ঠ সহকর্মী ও হিতাকাঙ্ক্ষী এবং বঙ্গবন্ধুর সাবেক নিরাপত্তাপ্রধান কর্নেল (পরে মরণোত্তর বীর উত্তম) জামিল আহমেদ। পরনে একটি সাফারি স্যুট, বুলেটবিদ্ধ রক্তাক্ত দেহ। নিজের অজান্তেই আমার চোখে পানি এল। এই প্রথম আমি একজন অতিপরিচিত কাছের মানুষের মৃতদেহ এত কাছ থেকে দেখলাম, যদিও তাঁর হত্যার খবর আমি আগেই পেয়েছিলাম।
সত্যিই আমি যা ভেবেছিলাম, তেমন কিছুই ঘটতে দেখিনি। এত বড় পার্টির (আওয়ামী লীগ) যেন কোনো অস্তিত্বই নেই, সব কর্পূরের মতো উবে গেছে। কোনো নেতাকেও পাওয়া যায়নি সেদিন কিংবা পাওয়া গেলেও তাঁরা যেকোনো কারণেই হোক নিষ্ক্রিয় থেকেছেন। আনোয়ার উল আলমের রক্ষীবাহিনীর সত্য-মিথ্যা বইয়ের বিবরণ থেকে এই অবস্থার সুস্পষ্ট সাক্ষ্য মেলে।
সেদিন দলটির কজন অনুসারী শোকে-দুঃখে না খেয়ে ছিলেন, জানি না। অথচ আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে এক দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে যখন ক্ষমতায় আসে, তারপর থেকে বঙ্গবন্ধুর ভক্তদের আলোচনা শুনলে আমি বিমূঢ় হয়ে যাই। আমার জানামতে, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর অব্যবহিত পরে আওয়ামী লীগের মাত্র দু-একজন নেতা কিছুটা প্রতিবাদী ভূমিকা গ্রহণের চেষ্টা করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ওই সময়ে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সহকারী তোফায়েল আহমেদ। তিনি রক্ষীবাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে কিছু করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সে কথায় পরে আসব। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তমও বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিবাদ করেছিলেন।
আমার গাড়ি ফার্মগেট ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ হয়ে মিরপুর রোডের মাথায় আসতেই দেখতে পেলাম, দুটি ট্যাংক রাস্তার দুপাশে বহির্মুখী অবস্থান নিয়ে আছে। ট্যাংকের মেশিনগানগুলো সমান্তরালভাবে রাস্তার দিকে তাক করে রাখা। মেশিনগানম্যান সদাপ্রস্তুত অবস্থায়, চেহারায় আত্মতৃপ্তি, মুখে একরকম বিজয়ের হাসির রেখা। আমার চোখে চোখ পড়তেই তারা কোনো রকমে দায়সারা গোছের অভিবাদন জানাল। ব্যাপারটা দেখে আমার মনে হলো, সেনাবাহিনীতে যতটুকু শৃঙ্খলা দেখেছি, রাতারাতি তার চরম অবনতি ঘটেছে। আর এ অবস্থায়, যেখানে এসব সৈনিক বঙ্গবন্ধুর মতো বিশাল ব্যক্তিত্বকে সপরিবার হত্যা করার সাহস রাখে, সেখানে তাদের কাছ থেকে কতটুকুই-বা শৃঙ্খলাবোধ আশা করা যায়!
এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক—অভ্যুত্থানে যেসব অফিসার ও সৈনিক সেনাশৃঙ্খলা আর চেইন অব কমান্ড ভঙ্গ করেছে, তাদের সে আচরণের প্রভাব সমগ্র সেনাবাহিনীর ওপরে পড়তে বাধ্য আর এর পরিণাম হবে অত্যন্ত মারাত্মক। মোটকথা প্রভাবটা সুদূরপ্রসারী হতে বাধ্য।
এরপরের বেশ কতগুলো ক্যু, কাউন্টার ক্যু যার প্রমাণ বহন করেছে। সেনাবাহিনীতে নিয়ম ভঙ্গ করে রিভোল্ট করা যায় বা চেইন অব কমান্ড ভেঙে তথাকথিত ইতিহাস সৃষ্টি করা যায়, তবে তা সশস্ত্র বাহিনীর মতো একটি সংগঠনের জন্য পরবর্তীকালে অত্যন্ত ক্ষতিকর প্রমাণিত হয়। তাই পৃথিবীর সব সশস্ত্র সেনাবাহিনীতেই চেইন অব কমান্ড ভঙ্গ করা বা রিভোল্ট করা অত্যন্ত মারাত্মক অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় এবং এর জন্য চরম শাস্তির বিধান রয়েছে।
আর এ ধরনের কার্যকলাপ, তা যার বা যাদের উদ্যোগে এবং যত মহৎ উদ্দেশ্য থেকেই হোক না কেন, এর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে বারবার এ ধরনের গর্হিত কাজ করার প্রবণতা থেকেই যাবে। বাংলাদেশে ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট এবং তার পরবর্তীকালের সামরিক অভ্যুত্থান ও পাল্টা–অভ্যুত্থান এবং ক্ষমতা দখলের প্রচেষ্টাগুলোই যার প্রমাণ। সামরিক ইতিহাসে আমার এই বক্তব্যের সত্যতার পক্ষে ভূরি ভূরি প্রমাণ পাওয়া যাবে।
ভয় উত্তেজনা দুঃখ
আমি ট্যাংকগুলো পেরিয়ে ধানমন্ডি লেকের ধার ধরে এগিয়ে ৩২ নম্বর রোডে আসতেই বঙ্গবন্ধুর বাড়ির সামনে সৈনিকদের জটলা দেখতে পেলাম। সেখানে প্রায় সব সৈনিকই আর্মার্ড ট্যাংক এবং আর্টিলারি কোরের। বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে পাহারারত কিছু পুলিশও ছিল। বুকের গভীরে এক অজানা ভয়, উত্তেজনা আর প্রচণ্ড একটা দুঃখবোধ—সবকিছু মিলিয়ে এক মিশ্র অনুভূতি তখন আমার।
এমন অনুভূতি নিয়ে কখন যে বঙ্গবন্ধুর বাড়ির সামনে জিপটি দাঁড়াল, টেরও পেলাম না। গাড়ির ভেতরে বসে বাড়ির দিকে তাকালাম। জীবনে প্রথম এই ঐতিহাসিক বাড়িকে দেখা। অত্যন্ত সাধারণ কাঠামোর একটি অসম্পূর্ণ তিনতলা মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারের বাড়ি। প্রায় পুরো প্লটজুড়েই বাড়িখানা নির্মিত। ধানমন্ডির অন্যান্য বাড়ির তুলনায় নিতান্তই ছোট জায়গার ওপরে তার অবস্থান। এর আশপাশের বাড়িগুলোও প্রায় গায়ে গায়ে লাগানো। বাড়িগুলো এত ঘন যে রাষ্ট্রপতির সামান্য নিরাপত্তা দেওয়াও এখানে দুরূহ ব্যাপার।
এই সেই বাড়ি যা বাংলার স্বাধীনতার ইতিহাসের প্রতিটি ধাপের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এই সেই জায়গা, যেখান থেকে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতাপূর্ব তাঁর সমস্ত কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছেন। আবার এখান থেকেই পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে বন্দী হয়ে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে দীর্ঘ ৯ মাস বন্দিজীবন যাপন করেছেন। ৩২ নম্বরের এই বাড়ি মানেই এক সংগ্রামী ইতিহাসের সূতিকাগার।
এখানে বা এর আশপাশে সৈনিকদের আকস্মিক উপস্থিতি নতুন কিছু নয়। বহুবার পাকিস্তানি সেনারা এ বাড়ি অবরোধ করেছে আর বাড়ির বাসিন্দারা হয়েছেন অবরুদ্ধ। কিন্তু আজ এখানে বসবাসকারী পরিবারের সবাই চিরস্তব্ধ, কেবল বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা ছাড়া, যাঁরা সেদিন ভাগ্যবলে দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। সম্ভবত ইতিহাস তাঁদের কাছ থেকে আরও কিছু পাবে—এই জন্য।
গেটের বাইরেই গাড়ি রাখতে হলো। কারণ, গেটের ভেতরে গাড়ির গ্যারেজ এত স্বল্প পরিসরের যে আর একটি গাড়ি রাখা বেশ অসুবিধাজনক। জিপ থেকে নেমে হেঁটে সোজা ভেতরে ঢুকতেই পোড়া বারুদের গন্ধ আমার নাকে এসে লাগে।
গ্যারেজের পাশ কেটে বাড়ির ভেতরে প্রবেশের মুখে খুবই পরিচিত একজন অফিসার, তৎকালীন ক্যাপ্টেন বাসার (প্রয়াত লে. কর্নেল) সহাস্যে এগিয়ে এসে আমার হাতে ফিল্মের তিনটি রোল তুলে দিলেন। দেখলাম, একটি বিটিভির আর দুটি স্টিল ফিল্ম—একটি ইত্তেফাক আর একটি দৈনিক বাংলা পত্রিকার ক্যামেরাম্যানের তোলা।
এ ছবিগুলো তখন কীভাবে তোলা হলো, জানতে চাইলে ওই অফিসার আমাকে জানালেন যে অভ্যুত্থানের পরপরই এই তিন সংস্থার তিন ক্যামেরাম্যানকে ডেকে নিয়ে এসে বাড়ির ভেতরের ফটো তুলতে বলা হয়েছিল। পরে অজ্ঞাত কোনো কারণে এগুলো তাঁদের নিয়ে যেতে দেওয়া হয়নি। কারণটা আমাকে আর জিজ্ঞেস করতে হয়নি। আমি নিজেই বুঝতে পারলাম কেন এগুলো নিয়ে যেতে বারণ করা হয়েছিল।
ফিল্মগুলো হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে গ্যারেজের দিকে তাকাতেই দেখলাম, তার কাছাকাছি আমার অত্যন্ত পরিচিত লাল রঙের একটি গাড়ি দাঁড় করানো। একটু সামনে এগিয়ে গাড়ির ভেতরে উঁকি মারতেই দেখলাম, পেছনের সিটে উবু হয়ে পড়ে আছে একটি মৃতদেহ।
আমার অত্যন্ত পরিচিত, ঘনিষ্ঠ, বয়োজ্যেষ্ঠ সহকর্মী ও হিতাকাঙ্ক্ষী এবং বঙ্গবন্ধুর সাবেক নিরাপত্তাপ্রধান কর্নেল (পরে মরণোত্তর বীর উত্তম) জামিল আহমেদ। পরনে একটি সাফারি স্যুট, বুলেটবিদ্ধ রক্তাক্ত দেহ। নিজের অজান্তেই আমার চোখে পানি এল। এই প্রথম আমি একজন অতিপরিচিত কাছের মানুষের মৃতদেহ এত কাছ থেকে দেখলাম, যদিও তাঁর হত্যার খবর আমি আগেই পেয়েছিলাম। (চলবে)
ড. এম সাখাওয়াত হোসেন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার