যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএর অনুমোদন পেয়ে দৃষ্টান্ত গড়ল এসকেএফের তৃতীয় কারখানা
বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প খাতের নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠান এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের আরও একটি কারখানা (ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট) যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) অনুমোদন পেয়েছে। এর মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির তৃতীয় কোনো কারখানা বিশ্বে স্বাস্থ্য খাতের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এ নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পেল।
নতুন করে এফডিএর অনুমোদন পাওয়া কারখানাটি হলো স্টেরাইল ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট। এর অবস্থান গাজীপুরের টঙ্গির ফারাজ আইয়াজ হোসেন ভবনে। এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে এসকেএফের স্টেরাইল ইউনিট–১ ও মার্চে ওরাল সলিড ইউনিট এফডিএর অনুমোদন পেয়েছিল।
এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের একমাত্র ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এসকেএফের তিনটি কারখানা এফডিএর অনুমোদন পেল। আর দেশের একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে এসকেএফের ইনজেকশনের মাধ্যমে ব্যবহার উপযোগী ওষুধ তৈরির কারখানার এফডিএর অনুমোদন রয়েছে। এ ছাড়া দেশের প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসেবে এসকেএফ ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে ইনজেকশনের মাধ্যমে ব্যবহার উপযোগী জটিল ওষুধ রপ্তানি শুরু করেছে।
এই অর্জন নিয়ে ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও সিমিন রহমান বলেছেন, ‘এটা এসকেএফের জন্য দারুণ গর্বের একটি মুহূর্ত। এখন আমাদের তিনটি উৎপাদন কারখানার এফডিএর অনুমোদন রয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো, আমাদের ইনজেকশনের মাধ্যমে ব্যবহার উপযোগী ওষুধ তৈরির দুটি কারখানা এফডিএ অনুমোদিত। একটি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান হিসেবে এখন আমাদের ইনজেকশনের মাধ্যমে ব্যবহার উপযোগী ওষুধ নিয়ে শক্তি–সামর্থ্য তুলে ধরার সক্ষমতা রয়েছে, যে পণ্য আমরা ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি করছি।’
সিমিন রহমান আরও বলেন, ‘রোগীদের চাহিদা মেটাতে সব সময় এসকেএফের প্রচেষ্টার অগ্রভাগে রয়েছে গুণমানের প্রতি অটল প্রতিশ্রুতি। বিশ্বমানের ওষুধ নিয়ে বৈশ্বিক পর্যায়ে আমাদের অবস্থানকে আরও মজবুত করেছে এই স্বীকৃতি।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএ ছাড়া যুক্তরাজ্যের এমএইচআরএ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএমপি, ব্রাজিলের এনভিসা, অস্ট্রেলিয়ার টিজিএ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সাহপ্রার মতো বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর অনুমোদন পেয়েছে এসকেএফ।
এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ট্রান্সকম গ্রুপের একটি অন্যতম প্রতিষ্ঠান। এসকেএফের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত লতিফুর রহমান, যিনি সারা বিশ্বে নৈতিকতা ও সৎ ব্যবসায়ী হিসেবে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এসকেএফ ৩৪ বছর ধরে ওষুধ উৎপাদন করে আসছে এবং বর্তমানে বিশ্বের ৬টি মহাদেশের বিভিন্ন দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে।