‘প্রার্থনা ও গণমিছিল’ কর্মসূচি পালন করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

‘আসছে ফাল্গুনে আমরা কিন্তু দ্বিগুণ হব’ জহির রায়হানের লেখা আরেক ফাল্গুন উপন্যাসের সংলাপ। এই সংলাপ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ফেসবুকে বারবার তুলে ধরেছেন। গতকাল সিলেটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সেই সংলাপই লিখছিলেনছবি: আনিস মাহমুদ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আজ শুক্রবার ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নতুন এই কর্মসূচির কথা জানান এই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবদুল কাদের।

এতে বলা হয়, আজ সারা দেশের মসজিদে জুমার নামাজ শেষে দোয়া-কবর জিয়ারত, মন্দির, গির্জাসহ সব প্রার্থনালয়ে প্রার্থনা ও জুমার নামাজ শেষে ছাত্র-জনতার গণমিছিল অনুষ্ঠিত হবে। দেশের সব স্তরের নাগরিকদের এই কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। পরে রাতে আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম ওই কর্মসূচির কথা প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার গণসংগীত, পথনাটক, দেয়াললিখন, স্মৃতিচারণা ও বিক্ষোভ সমাবেশের মধ্য দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোজ’ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ঢাকাসহ অন্তত ১৬টি জেলা ও মহানগরে এসব কর্মসূচি পালনের খবর পাওয়া গেছে। এসব কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কোথাও কোথাও শিক্ষক ও আইনজীবীরাও অংশ নেন।

এসব কর্মসূচি ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থানে সতর্ক অবস্থানে ছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। কোথাও কোথাও কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দেয়। কোথাও কোথাও পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। কয়েকটি স্থানে বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। অবশ্য পরে তাঁদের অনেককে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ-সংঘাত, সহিংসতা, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।