জেড আই খান পান্নার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলার নিন্দা এইচআরএফবির
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্নার বিরুদ্ধে হওয়া হত্যাচেষ্টা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি)। তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও হয়রানিমূলক বলে মনে করে এইচআরএফবি। তারা অবিলম্বে এ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। আজ রোববার এক বিবৃতিতে এসব বিষয় উল্লেখ করেছেন এইচআরএফবির ২২ সদস্য।
এইচআরএফবি মনে করে, এ ধরনের মামলা প্রকৃতপক্ষে ন্যায়বিচারের পথ রুদ্ধ করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের বিচার লাভের অধিকার খর্ব করে। অন্যদিকে এ ধরনের ঢালাওভাবে হয়রানিরমূলক মামলা কর্তৃত্ববাদের জন্য যাঁরা মূলত দায়ী, তাঁদের জবাবদিহির চলমান বিচারপ্রক্রিয়া সম্পর্কে দেশ–বিদেশে আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
গত ১৯ জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আহাদুল ইসলাম নামের একজনকে গুলি ও মারধর করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়। ১৭ অক্টোবর ঢাকার খিলগাঁও থানায় মামলাটি করেন আহাদুলের বাবা মো. বাকের। সেই মামলায় আসামি হিসেবে ১৮০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে জেড আই খান পান্নার নামও রয়েছে। তিনি মামলার ৯৪ নম্বর আসামি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই জেড আই খান পান্না তাঁর যৌক্তিক অবস্থানে থেকে ছাত্রদের ন্যায়সংগত দাবির প্রতি জোরালো ভূমিকা রাখেন উল্লেখ করে এইচআরএফবি বিবৃতিতে বলেছে, এমনকি ছাত্র আন্দোলনে গুলি চালানো বন্ধ করার জন্য এবং ৬ সমন্বয়ককে গোয়েন্দা হেফাজতে আটক রাখার ঘটনায় হাইকোর্টে আইনি লড়াইয়ে তিনি সম্পৃক্ত থেকেছেন। তিনি বিগত সরকারের সময়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ হেফাজতে মৃত্যু, নির্যাতন ও গুমের মতো স্পর্শকাতর ও অমানবিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে জোরালো ভূমিকা রেখেছেন। জেড আই খান পান্না মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী নানা ঘটনার প্রতিবাদ ও আইনি লড়াই করে যাচ্ছেন।
এইচআরএফবি বলেছে, আইনজীবী জেড আই খান পান্নার বিরুদ্ধে এ ধরনের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও হয়রানিমূলক মামলা তাদের হতবাক করেছে। তাঁকে কোনোভাবে যেন হয়রানি করা না হয়, তা নিশ্চিত করার আহ্বানও তারা জানিয়েছে।
জুলাই ও আগস্টে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার প্রক্রিয়াকে অগ্রাধিকার দিয়ে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছে এইচআরএফবি। যাতে মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের হয়রানি প্রতিরোধ করা যায় এবং ভুক্তভোগী ও নিহত ব্যক্তিদের পরিবারগুলোকে আরও সহায়তা প্রদান করা যায়, সে জন্য একটি উচ্চপর্যায়ের পর্যালোচনা প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এইচআরএফবি।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন হামিদা হোসেন, সুলতানা কামাল, ইফতেখারুজ্জামান, শাহীন আনাম, ফওজিয়া মোসলেম, শামসুল হুদা, খুশী কবির, সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ, ফাতেমা রশিদ হাসান, জাকির হোসেন, সারা হোসেন, রঞ্জন কর্মকার, সঞ্জীব দ্রংসহ আরও অনেকে।