ঝিনাইদহ-১: আচরণবিধি লঙ্ঘনের মামলায় আগাম জামিন পেলেন নৌকার প্রার্থী
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সংসদ সদস্য আবদুল হাই আট সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন। এ–সংক্রান্ত তাঁর করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এ জামিন দেন।
এর আগে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে গতকাল মঙ্গলবার শৈলকুপা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তাইজুল ইসলাম শৈলকুপা থানায় ওই মামলাটি করেন। এই মামলায় আজ আদালতে উপস্থিত হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে আগাম জামিনের আবেদন জানান তিনি।
আদালতে জামিন আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন ও জিল্লুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।
পরে সাইফুদ্দিন খালেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘শৈলকুপা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার করা ওই মামলায় হাইকোর্ট আবদুল হাইকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন। এরপর তাঁকে নিম্ন আদালতে হাজির হতে হবে।’
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি গত ১৬ ডিসেম্বর শৈলকুপা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চড়িয়ারবিল বাজারে বিপুল নামের এক ব্যক্তির বাড়ির নিচতলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলামের নির্বাচনী কার্যালয়ে প্রবেশ করে ভাঙচুর করেন এবং পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন, যা গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ ১৯৭২–এর অনুচ্ছেদ ৭৭(১)(ক)–এর লঙ্ঘন।
জামিন আবেদনকারীদের অন্যতম আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, এক মামলায় আবদুল হাই আগাম জামিন পেয়েছেন। এ ছাড়া শৈলকুপা থানায় করা পৃথক দুটি মামলায় আবদুল হাইয়ের ছয় সহযোগী আট সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, আবদুল হাইয়ের তিন কর্মীর বিরুদ্ধে গতকাল আরেকটি মামলা করেন শৈলকুপা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। তাঁরা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও শৈলকুপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হাকিম, হাকিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকু শিকদার ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম হোসেন মোল্লা। এই মামলায় তাঁরা আদালতে উপস্থিত হয়ে আগাম জামিন চান। ওই মামলায় তাঁরা আট সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন।
এর আগে মারধরের অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে গত ২৮ ডিসেম্বর শৈলকুপা থানায় একটি মামলা করেন। এই মামলায় আবদুল হাইয়ের অপর তিন কর্মী আজ আদালতে হাজির হয়ে আগাম জামিন চান। তাঁরাও আট সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন বলে জানান আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন।