ছাত্রলীগের তিন নেতাকে থানায় মারধর করার ঘটনায় শাহবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. গোলাম মোস্তফাকেও দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের এক অফিস আদেশে তাঁকে ডিএমপির কেন্দ্রীয় সংরক্ষণ দপ্তরে বদলির কথা জানানো হয়েছে।
অপর দিকে গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের পরিদর্শক মো. আরশাদ হোসেনকে শাহবাগ থানার পরিদর্শকের (অপারেশন) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে এ আদেশ কার্যকর হবে বলে ডিএমপি কমিশনারের অফিস আদেশে বলা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হকের সঙ্গে পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত শনিবার ছাত্রলীগের তিন নেতাকে মারধর করা হয়। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, শাহবাগ থানায় ওসির (তদন্ত) কক্ষে এ মারধরে নেতৃত্ব দেন এডিসি হারুন।
রোববার এ খবর প্রকাশের পর এডিসি হারুনকে প্রথমে রমনা বিভাগ থেকে সরিয়ে ডিএমপির দাঙ্গা দমন বা পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট বিভাগে সংযুক্ত করা হয়। পরে ওই দিন সন্ধ্যায় তাঁকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করা হয়। সোমবার তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সাময়িক বরখাস্তকালীন এডিসি হারুন পুলিশ অধিদপ্তরে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোশ ভাতা প্রাপ্য হবেন।
ছাত্রলীগের নেতাদের মারধরের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে সোমবার ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে দেখা করেছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ। এ সময় মারধরের শিকার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল শাখার সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন।
এদিকে এ ঘটনা তদন্তের জন্য রোববারই ডিএমপি তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি–সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, দায়িত্ব পেয়ে কমিটির সদস্যরা সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তাঁরা শাহবাগ থানায় ওসির (তদন্ত) কক্ষে ছাত্রলীগের নেতাদের মারধর করার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছেন।
এরপর রাতে শাহবাগ থানার পরিদর্শক গোলাম মোস্তফাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার আদেশ এসেছে।