লক্ষ্মীপুর ও পটিয়ায় সংঘর্ষ, গুলি, আহত অর্ধশত
চট্টগ্রামের পটিয়ায় ও লক্ষ্মীপুরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরকার–সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় অনন্ত ৫৫ জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
পটিয়া উপজেলা সদরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষে প্রায় ৩৫ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৬ জন গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর আহত একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সরেজমিন দেখা গেছে, পটিয়া উপজেলা কার্যালয়ের সামনে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা করে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ। এ সময় গুলি ছোড়া হয়। পরে বিক্ষোভকারীদের সমর্থনে আল জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার ছাত্ররা বেরিয়ে আসেন। এরপর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা পিছু হটেন।
সংঘর্ষ শুরু হলে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একের পর এক আহতরা আসতে থাকেন। সংঘর্ষের সময় কোনো পুলিশ চোখে পড়েনি। দুপুর দুইটার দিকে বিক্ষোভকারী ও জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার ছাত্ররা সড়কের দখল নেন।
পটিয়া বেসরকারি জেনারেল হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ২৫ জন আহত রোগী আনা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৫ জন ছররা গুলিবিদ্ধ। মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
লক্ষ্মীপুরে সংঘর্ষ
লক্ষ্মীপুর শহরে সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হন। বেলা ১১টার দিকে শহরের উত্তর তেহমনী থেকে ঝুমুর পর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। ঘণ্টাব্যাপী চলে এই সংঘর্ষ।
আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, দুজন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে গুলিবিদ্ধ দুজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাঁদের বয়স ২২ থেকে ২৫ বছর।
সকাল থেকেই আন্দোলনকারীরা ঝুমুর এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। আর আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা মাদাম এলাকায় অবস্থান করেন। একপর্যায়ে দুপুর ১২টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। ঘণ্টাখানেক অবস্থান করে আওয়ামী লীগ নেতারা আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে পিছু হটে যান। শহরে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকলেও এই সময় পুলিশকে কোনো ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইয়াছিন মজুমদার ফারুক বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে হঠাৎ সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। পুলিশ সতর্ক অবস্থানে আছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।