বিএনপির আমীর খসরুর জামিন আবেদন গ্রহণ করে নিষ্পত্তির নির্দেশ

বিএনপির গত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে ঘিরে রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানায় করা পৃথক আট মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন আবেদন গ্রহণ করে আইনানুযায়ী তা নিষ্পত্তি করতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে (সিএমএম) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আমীর খসরুর করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেন।

রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানায় করা পৃথক আট মামলায় জামিন আবেদন গ্রহণ করে তা নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে ২ জানুয়ারি ওই রিট করেন আমীর খসরু। আটটির মধ্যে চারটি পল্টন থানার এবং চারটি রমনা থানার মামলা এবং মামলাগুলো ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে বিচারাধীন বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারীর আইনজীবী।

আদালতে আমীর খসরুর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান ও আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

পরে আইনজীবী সগীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গত ২৮ অক্টোবরের সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনায় পল্টন থানার মামলায় গত ২ নভেম্বর আমীর খসরুকে গ্রেপ্তার করা হয়। এটি ছাড়া আরও নয়টি মামলায় তাঁর নাম থাকলেও তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। যে কারণে এসব মামলায় তাঁর জামিন আবেদন করা হয়, যা গত ১২ ডিসেম্বর নিম্ন আদালত গ্রহণ করেননি। এ অবস্থায় নয়টি মামলায় জামিন আবেদনগুলো গ্রহণ করে আইন অনুসারে নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়। ইতিমধ্যে ওই ৯ মামলার মধ্যে পল্টন থানার অপর একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাই ৮ মামলার ক্ষেত্রে আমীর খসরুর জামিন আবেদন গ্রহণ করে আইন অনুসারে ১৫ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করতে সিএমএম আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

গত ২ নভেম্বর রাজধানীর গুলশানের একটি বাসা থেকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাঁকে পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল হক হত্যা মামলায় সিএমএম আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এই মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করেন তিনি, যা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও জজ আদালতে নামঞ্জুর হয়। পরে এই মামলায় উচ্চ আদালতে আমীর খসরুর জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে বলে জানান তাঁর আইনজীবী।