আদানি থেকে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ কেনায় ভারত সরকারের ‘সংস্রব নেই’
বাংলাদেশের সঙ্গে আদানি গোষ্ঠীর বিদ্যুৎ কেনাবেচার সঙ্গে ভারত সরকারের সংস্রব নেই। বাংলাদেশ ওই গোষ্ঠীর বিদ্যুতের দাম কমাতে তৎপর—এমন কোনো খবরও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জানা নেই। বৃহস্পতিবার ওই মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে আদানি গোষ্ঠী প্রসঙ্গে এ কথা বলেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি।
এক প্রশ্নের জবাবে অরিন্দম বাগচি আরও বলেন, আদানি গোষ্ঠীকে নিয়ে যে বিতর্ক দেখা দিয়েছে, তা জি–২০ গোষ্ঠীর সম্মেলনের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে বলে তিনি মনে করেন না।
ভারতের ঝাড়খন্ডের গোড্ডা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে আদানি গোষ্ঠীর চুক্তি হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ইউনিটপ্রতি নির্ধারিত দাম কমানোর জন্য বাংলাদেশ সরকার অনুরোধ জানিয়েছে বলে সে দেশের কোনো কোনো গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অরিন্দম বাগচি বলেন, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কিছু জানা নেই। তিনি বলেন, চুক্তিটি এক সার্বভৌম সরকারের সঙ্গে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের। ওই চুক্তির সঙ্গে ভারত সরকার জড়িত নয় বলেই তাঁর ধারণা।
অরিন্দম বাগচি আরও বলেন, প্রতিবেশী প্রথম নীতি অনুযায়ী ভারত তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সম্পর্ক ও যোগাযোগ স্থাপনে আগ্রহী, যা উন্নয়নের জন্য সহায়ক। তিনি বলেন, ভারত চায় তার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল প্রতিবেশীদেরও সমৃদ্ধ করুক। দুই দেশের মধ্যে সব ধরনের যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও জলসম্পদ ক্ষেত্রে এত সহযোগিতার লক্ষ্যও তা।
আদানি বিতর্ক নিয়ে একাধিক প্রশ্ন ওঠে। ওই গোষ্ঠীকে নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্কের দরুণ বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ও দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না, ওঠে সেই প্রশ্নও। জানতে চাওয়া হয়, আসন্ন জি–২০ শীর্ষ সম্মেলনের ওপর এ বিতর্ক ছায়া ফেলবে কি না। এ বিষয়ে অরিন্দম বাগচি বলেন, অর্থনৈতিক কারণে কোনো বিশেষ প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে হতে না পারা দুই দেশের সম্পর্কের প্রতিফলন হিসেবে গ্রাহ্য হতে পারে না। ব্যবসা–বাণিজ্য ও যোগাযোগ বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে দুই দেশকে আরও ঘনিষ্ঠ করার কাজ ভারত জারি রাখবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, কোনো দেশ আদানি গোষ্ঠীর অবস্থা সম্পর্কে ভারতের কাছে জানতে চেয়েছে কি না, তাঁর জানা নেই। তেমন কোনো আগ্রহ কেউ প্রকাশ করে থাকলে তার উত্তর সংশ্লিষ্ট দপ্তরের জানা থাকবে। অরিন্দম বাগচি বলেন, জি–২০ দেশগুলোর কাছে ভারতকে তুলে ধরার মতো বহু বিষয় রয়েছে। আদানি বিতর্ক ওই সম্মেলনে কোনো ছায়া ফেলবে না।