চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের হিসাবরক্ষক মাসুদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঠিকাদারদের বিলের চেকের বিপরীতে ঘুষ নেওয়ার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। এটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য নোটিশ দিয়েছে সিটি করপোরেশন। জবাব দেওয়ার জন্য ১০ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে আজ সোমবার এই নোটিশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।
চিঠি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, হিসাব বিভাগের হিসাবরক্ষক মাসুদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। তাঁকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কর্মচারী চাকরি বিধিমালা, ২০১৯–এর বিধি ৪৯ দফা (খ) অনুসারে গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং কেন তাঁকে উক্ত বিধি মোতাবেক উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করা হবে না, তা নোটিশপ্রাপ্তির ১০ (দশ) কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে।
সিটি করপোরেশনের হিসাব বিভাগের হিসাবরক্ষক মাসুদুল ইসলামের ঘুষ নেওয়ার একটি ভিডিও সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়ে। দেড় মিনিটের ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, এক ঠিকাদারকে বিলের চেক দেন মাসুদুল ইসলাম। তখন ওই ঠিকাদার তাঁর হাতে টাকা দেন। টাকা নিয়ে তা নিজের প্যান্টের পকেটে রেখে দেন তিনি। তবে টাকার অঙ্ক স্পষ্ট দেখা যায়নি। ১ মিনিট ৫ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা গেছে, আরেকজন ৫০০ টাকার নোট দিচ্ছেন মাসুদকে। ভিডিওতে থাকা দুই ঠিকাদারের পরিচয় জানা যায়নি।
এ ঘটনায় হিসাবরক্ষক মাসুদুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করে সিটি করপোরেশন। এ ছাড়া ঘটনা তদন্তে গত ২৭ আগস্ট সিটি করপোরেশনের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজনকে তদন্ত কমিটির প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য দুই সদস্য হচ্ছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৈতি সর্ববিদ্যা এবং জনসংযোগ ও প্রটোকল কর্মকর্তা আজিজ আহমদ। কমিটি গত বৃহস্পতিবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।