চট্টগ্রাম চেম্বারের পর্ষদ থেকে পদত্যাগ করলেন তরফদার রুহুল আমিন

তরফদার রুহুল আমিনছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রাম চেম্বারের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হিসেবে পদত্যাগ করেছেন সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমিন। আজ বুধবার তিনি চেম্বারের সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বরাবর এই পদত্যাগপত্র জমা দেন। চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিতে (সিসিসিআই) দ্বিতীয়বারের মতো এমন ঘটনা ঘটল।

তরফদার রুহুল আমিনের পদত্যাগের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম চেম্বারের মহাসচিব ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ ফারুক। তিনি বলেন, সহসভাপতি হিসেবে তরফদার রুহুল আমিন আজ পদত্যাগপত্র দিয়েছেন।

তরফদার রুহুল আমিনের প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড চট্টগ্রাম বন্দরে গুরুত্বপূর্ণ দুটি টার্মিনাল পরিচালনা করছে। তিনি গত বছরের ৮ আগস্ট চেম্বারের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতির দায়িত্ব নেন।

এর আগে নতুন একটি কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার এক সপ্তাহের মাথায় চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক হিসেবে পদত্যাগ করেছিলেন প্যাসিফিক জিনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর। সে সময় পদত্যাগপত্রে সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর চেম্বারের ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে’ এই মেয়াদে চেম্বারের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে অপারগতার কথা জানান।

তরফদার রুহুল আমিন তাঁর পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেন, ‘আমি মনে করি, সিসিসিআই ব্যবসাক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারেনি এবং ব্যবসায়ী মহলের প্রত্যাশা পূরণ করে পারেনি। একইভাবে আমিও ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করতে পারিনি, যেভাবে আমি চেয়েছিলাম।’

তরফদার রুহুল আমিন আরও উল্লেখ করেন, ‘দেশে বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতি ও চলমান বন্যায় ব্যবসায়ী মহলের জন্য যেভাবে কাজ করা দরকার, সেভাবে আমার জায়গা থেকে কাজ করতে পারিনি বলে মনে করছি। এসব বিষয় বিবেচনায় আমার বর্তমান পদ থেকে আমার সরে দাঁড়ানো উচিত বলে মনে করছি।’

পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম চেম্বারের এই কমিটি ব্যবসায়ীদের স্বার্থে কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। তাই আমার মনে হয়েছে, এই পদ থেকে আমার সরে দাঁড়ানো উচিত।’

গত বছর আগস্ট মাসে চট্টগ্রাম চেম্বারে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরিচালকেরা নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো চেম্বারে ভোট হয়নি। নির্বাচিত পরিচালকেরা চট্টগ্রাম-১১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফের তৃতীয় সন্তান ৩২ বছর বয়সী ওমর হাজ্জাজকে সভাপতি নির্বাচিত করেন। এ নিয়ে অসন্তোষ থাকলেও প্রকাশ্যে কেউ কিছু বলেননি।