সাবেক আইজিপি ৪ দিনের রিমান্ডে, আরেক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আনিসুল, সালমানসহ ৪ জন

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতফাইল ছবি: প্রথম আলো

রাজধানীর শাহবাগ থানায় করা একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনকে চার দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামান আজ মঙ্গলবার সকালে এ আদেশ দেন।

এ দিকে তেজগাঁও থানায় করা একটি মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান ও সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, শাহবাগ থানায় করা ইসমামুল হক হত্যা মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনকে আজ সকাল সাড়ে সাতটার পর আদালতে হাজির করা হয়।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত আবদুল্লাহ আল–মামুনকে চার দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন ।

৩ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন সাবেক এই আইজিপি। মোহাম্মদপুর থানায় করা একটি হত্যা মামলায় প্রথম দফায় তাঁর আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

৫ আগস্ট রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান ইসমামুল হক নামে এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গত ২৫ আগস্ট শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা হয়।

অন্যদিকে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, শাজাহান খান ও সাদেক খানকে আজ সকাল সাড়ে সাতটার দিকে কারাগার থেকে আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। পরে তাঁদের আদালতে হাজির করে তেজগাঁও থানায় করা একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। সেই আবেদন মঞ্জুর করার পর তাঁদের আবার কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

গত ১৩ আগস্ট আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানকে রাজধানীর সদরঘাট থেকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ। পরে তাঁদের পৃথক ৪টি মামলায় ৩০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

শাজাহান খানকে গত ৫ সেপ্টেম্বর ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ধানমন্ডি থানার একটি হত্যা মামলায় তাঁর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

সাদেক খান গত ২৪ আগস্ট গ্রেপ্তার হন। পরে পৃথক দুটি মামলায় তাঁর ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।