আরও এক পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর
আরও এক পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। তাঁর নাম মো. নাজমুল করিম খান। তিনি অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ পুলিশ সুপার পদে ছিলেন।
আজ বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত এ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে নাজমুল করিম খানকে সরকারি চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে জারি করা এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।’
এ নিয়ে গত অক্টোবর থেকে ৯ পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হলো।
সরকারি চাকরি আইন ২০১৮–এর ৪৫ ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো সরকারি কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ ২৫ বছর পূর্ণ হইবার পর যেকোনো সময় সরকার, জনস্বার্থে, প্রয়োজনীয় মনে করিলে কোনোরূপ কারণ না দর্শাইয়া তাহাকে চাকরি হইতে অবসর প্রদান করিতে পারিবে। তবে শর্ত থাকে যে, যে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে।’
এখন পর্যন্ত যাঁদের অবসরে পাঠানো হলো
গত বছরের ১৬ অক্টোবর পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার কর্মকর্তা মো. আলী হোসেন ফকিরকে সরকারি চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসর দেয় সরকার। এর আগে তিনি পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত ছিলেন। এর দুই দিন পর সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মীর্জা আবদুল্লাহেল বাকী ও মো. দেলোয়ার হোসেন মিঞা এবং পুলিশ সদর দপ্তরের এসপি (টিআর) মুহম্মদ শহীদুল্লাহ চৌধুরীকে চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।
গত ৩১ অক্টোবর দুজন অতিরিক্ত ডিআইজিকেও (অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক) বাধ্যতামূলক অবসর দেয় সরকার। তাঁরা হলেন ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মাহবুব হাকিম ও সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আলমগীর আলম। এরপর গত ২১ নভেম্বর সরকারি চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয় এসপি জিল্লুর রহমানকে। আর গত ২০ ডিসেম্বর সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মো. মুনির হোসেনকে অবসরে পাঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।