পুলিশের ওপর হামলার এক মামলায় চট্টগ্রামে বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষস্থানীয় নেতাসহ ৪৫৩ নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রামের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলমের আদালতে এ মামলায় শুনানির দিন ধার্য ছিল।
আসামিদের আইনজীবী কামরুল ইসলাম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, কারাগার থেকে বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীসহ কয়েকজনকে আনা হয়নি এবং জামায়াতের কয়েকজন নেতা শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। এ ছাড়া আসামিদের মধ্যে কয়েকজন ইতিমধ্যে মৃত্যুবরণও করেছেন। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আদালত শুনানি পেছানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। আগামী ২৯ নভেম্বর পরবর্তী দিন রেখেছেন।
মামলার আসামিদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী, নগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন, সদস্যসচিব আবুল হাশেম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য শামসুল আলম এবং জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী রয়েছেন।
এই মামলার শুনানি উপলক্ষে সকাল থেকে মামলার আসামি বিএনপি ও জামায়াতের নেতা–কর্মীরা আদালতের দ্বিতীয় তলায় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হন। আসামির সংখ্যা বেশি হওয়ায় এজলাসের বাইরে আদালতের বারান্দায় দাঁড়ান আসামিরা।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের বর্ষপূর্তিতে (২০১৫ সাল) চট্টগ্রামের কাজীর দেউড়ি-সংলগ্ন নাসিমন ভবনের সামনে সমাবেশ ডেকেছিল ২০-দলীয় জোট। ওই দিন সভা চলাকালে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি হয় নেতা-কর্মীদের। একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন নেতা-কর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আসলাম চৌধুরীসহ ৩০২ জনকে গ্রেপ্তার করে। আসামিদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী এখনো কারাগারে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে পুলিশের ওপর হামলা, বিস্ফোরক আইন ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ধারায় নগরের কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়।
তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ৪ জুলাই চট্টগ্রাম আদালতে পুলিশের ওপর হামলা, বিস্ফোরক আইন ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনের তিনটি ধারায় পৃথক তিনটি অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। বাকি দুটি মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে।