২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

দেশে প্রথম অনুষ্ঠিত হচ্ছে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় স্কাউট জাম্বুরি

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ স্কাউটস আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন
ছবি: সাজিদ হোসেন

বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো আয়োজন করতে যাচ্ছে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক স্কাউট জাম্বুরি।

গাজীপুরের মৌচাকে বাংলাদেশ স্কাউটসের জাতীয় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৯ দিনব্যাপী এই জাম্বুরি অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২১ জানুয়ারি সকালে জাম্বুরির উদ্বোধন করবেন।

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ স্কাউটস। সংস্থাটি বলছে, জাম্বুরি আয়োজনের সার্বিক প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

জাম্বুরি হলো স্কাউট সদস্যদের মিলনমেলা। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর অংশগ্রহণে চার বছর পরপর এই আয়োজন হয়ে থাকে।

গাজীপুরে বসবে ‘এশিয়া-প্যাসিফিক রিজওনাল স্কাউট জাম্বুরির’ ৩২তম আসর। একই সময় গাজীপুরের একই ভেন্যুতে হবে ১১তম জাতীয় স্কাউট জাম্বুরি। এবারের জাম্বুরির প্রতিপাদ্য ‘সাবাস…আ ফাউন্টেন অব এনার্জি’।

সংবাদ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ স্কাউটসের জাতীয় কমিশনার (জনসংযোগ ও মার্কেটিং) এম এম ফজলুল হক।

লিখিত বক্তব্যে ফজলুল হক বলেন, ১৯ থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় এই জাম্বুরিতে ৮ হাজার স্কাউট সদস্য, ১ হাজার ইউনিট লিডারসহ মোট ১১ হাজার সদস্য অংশ নেবেন। জাম্বুরিতে ভারত, নেপাল, মালদ্বীপ, ফিলিপাইন, স্কাউট চায়না (তাইওয়ান), থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, কানাডা, বিশ্ব স্কাউট সংস্থা ও এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। জাম্বুরিতে বিদেশি স্কাউটরা বাংলাদেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও দর্শনীয় স্থানগুলো দেখার পাশাপাশি এই দেশকে জানার সুযোগ লাভ করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জাম্বুরিতে দেশি-বিদেশি স্কাউট ও স্কাউটারের পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারবেন। তাঁরা একে অপরের কাছে কৃষ্টি-সংস্কৃতি তুলে ধরার সুযোগ পাবেন। এতে বিশ্বভ্রাতৃত্ববোধ বাড়বে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ স্কাউটসের জাতীয় প্রধান কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক খান। তিনি বলেন, স্কাউটিংয়ের মূল লক্ষ্য হলো শিশু, কিশোর, যুবাদের শারীরিক, মানসিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও আধ্যাত্মিক বিকাশ সাধন করা। স্কাউটিংয়ের মাধ্যমে একজন স্কাউট নিজেকে সুন্দর, সৎ, যোগ্য, দক্ষ ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। তাঁরা নিজেদের মেধা-শ্রম দিয়ে স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভূমিকা রাখতে পারে।

২৬ জানুয়ারি রাতে মৌচাকে জাম্বুরির মহাতাঁবু জলসা ও সমাপনী অনুষ্ঠিত হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

বাংলাদেশ স্কাউটসের জাতীয় কমিশনার (প্রোগ্রাম) মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান, জাতীয় উপকমিশনার সুকান্ত গুপ্ত, নির্বাহী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) কে এম সাইদুজ্জামান প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

১৯৭৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে ১৯৭৪ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ফিলিপাইনে প্রথম এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের স্কাউট জাম্বুরি অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ বিশ্ব স্কাউট সংস্থার ১০৫তম সদস্য। বর্তমানে বাংলাদেশ স্কাউটসের সদস্যসংখ্যা ২২ লাখ ৬৩ হাজারের বেশি। সংখ্যার বিচারে বাংলাদেশ স্কাউটসের অবস্থান বিশ্বে পঞ্চম।