বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে ডিএমপির বিশেষ নির্দেশনা
৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। এই পর্বে টঙ্গী ও আশপাশের এলাকায় যানবাহন চলাচল নিয়ে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। আজ বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ডিএমপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ডিএমপির নির্দেশনা অনুযায়ী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য ১৫ নম্বর সেক্টর এলাকার কদমতলী মার্কেট, ৫ নম্বর ব্রিজের ঢাল ও ১৭ নম্বর সেক্টর উলুদাহ মাঠ ব্যবহার করতে হবে।
সিলেট ও খুলনা বিভাগের জন্য উত্তরার ১৫ নম্বর সেক্টর লেকপাড় মাঠ ব্যবহার করতে হবে। রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের গাড়ির জন্য ১০ নম্বর ব্রিজ, ১১ নম্বর ব্রিজ লেকের পশ্চিম পার্শ্ব, ১৬ নম্বর সেক্টরের ভেতরে ও বউবাজার মাঠ ঠিক করা হয়েছে। বরিশাল বিভাগের গড়ি পার্কিং হবে ধউর ব্রিজ ক্রসিংসংলগ্ন বিআইডব্লিউটিএ ল্যান্ডিং স্টেশনে। আর ঢাকা মহানগরের সব গাড়ি ৩০০ ফিট রাস্তাসংলগ্ন স্বদেশ প্রোপার্টির খালি জায়গায় পার্কিং করতে হবে।
বিশ্ব ইজতেমার শেষ দিন অর্থাৎ আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি ট্রাফিক আইন মেনে ধউর ব্রিজ, ১৮ নম্বর সেক্টর পঞ্চবটী ক্রসিং, পদ্মা ইউলুপ, ১২ নম্বর সেক্টর খালপাড়, মহাখালী ক্রসিং, হোটেল র্যাডিসন ব্লু ক্রসিং, ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ে (বিশ্বরোড নিকুঞ্জ-১ কাঁচি গেট), কুড়াতলি উড়ালসড়ক লুপ-২, মহাখালী উড়ালসড়ক পশ্চিম পাশ ও মিরপুর দিয়াবাড়ি বাসস্ট্যান্ড ক্রসিংয়ের রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে পারবে। এ ছাড়া আখেরি মোনাজাতের দিন ভোর ৪টা থেকে আন্তজেলা বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও অন্যান্য ভারী যানবাহনগুলো আবদুল্লাহপুর, বউর ব্রিজ মোড় পরিহার করে মহাখালী, বিজয় সরণি ও গাবতলী হয়ে চলাচল করবে।
তেমনিভাবে নবীনগর, বাইপাইল ও আশুলিয়া হয়ে উত্তরবঙ্গ থেকে আসা যানবাহনসমূহ কামারপাড়া এবং আবদুল্লাহপুর ক্রসিং পরিহার করে সাভার, গাবতলী দিয়ে চলাচল করবে অথবা ধউড় ব্রিজ ক্রসিং হয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে চলাচল করবে। ঢাকা থেকে বিমানবন্দর সড়ক দিয়ে আসা যানবাহনগুলো কুড়িল উড়াল সড়কের ওপর দিয়ে প্রগতি সরণি হয়ে অথবা বিশ্বরোড ক্রসিং (নিকুঞ্জ-১ কাঁচি গেট) দিয়ে ইউটার্ন করে চলাচল করবে।
পাশাপাশি ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা ও বিমানবন্দর দিয়ে নামা যাবে না।
আখেরি মোনাজাতের দিন ভোর ৪টা থেকে ৩০০ ফিট দিয়ে আসা যানবাহন কুড়িল উড়ালসড়ক লুপ-২ (বিমানবন্দরগামী) পরিহার করে প্রগতি সরণি এবং কুড়িল ফ্লাইওভার লুপ-৪ ব্যবহার করতে হবে। কোনোভাবেই বিমানবন্দর সড়ক ব্যবহার করা যাবে না। তবে উত্তরার বাসিন্দা, বিমানযাত্রী বিমান অপারেশনাল যানবাহন, বিমান ক্রু বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স বিমানবন্দর সড়ক ব্যবহার করতে পারবে।
ঢাকা মহানগর থেকে যেসব মুসল্লি পায়ে হেঁটে বিশ্ব ইজতেমাস্থলে যাবেন, তাঁদের তুরাগ নদের ওপর নির্মিত বেইলি ব্রিজ অথবা কামারপাড়া ব্রিজ দিয়ে টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে যাতায়াত করতে হবে। বিদেশগামী যাত্রীদের বিমানবন্দরে আনা-নেওয়ার জন্য আখেরি মোনাজাতের দিন পদ্মা ইউলুপ এবং কুড়াতলি লুপ-২ থেকে ট্রাফিক উত্তরা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় যাত্রীদের জন্য পরিবহন সেবা দেওয়া হবে।