ক্ষুধা সূচকে সামান্য এগিয়েছে বাংলাদেশ

ক্ষুধা মেটানোর সক্ষমতার দিক থেকে ১২৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৮১তম। বাংলাদেশ বর্তমানে ‘মাঝারি মাত্রার’ ক্ষুধায় আক্রান্ত দেশ। চলতি বছরের ক্ষুধা সূচকে মোট ১০০ স্কোরের মধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে ১৯। দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে ক্ষুধা মেটানোর সক্ষমতায় বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে।
গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স (বিশ্ব ক্ষুধা সূচক) ২০২৩ গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়। প্রতিবছর আয়ারল্যান্ডভিত্তিক সংস্থা কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড ও জার্মানভিত্তিক ভেল্ট হ্যুঙ্গার হিলফে যৌথভাবে এই সূচক প্রকাশ করে।

একটি দেশে অপুষ্টির মাত্রা, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের উচ্চতা অনুযায়ী কম ওজন, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের বয়স অনুযায়ী কম উচ্চতা এবং শিশুমৃত্যুর হার হিসাব করে ক্ষুধার মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। বৈশ্বিক, আঞ্চলিক বা জাতীয়—যেকোনো পর্যায়ে ক্ষুধার মাত্রা নির্ণয় করতে এই সূচকগুলো ব্যবহার করা হয়।

বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে কারও স্কোর শূন্য হলে বুঝতে হবে, সেখানে ক্ষুধা নেই। আর স্কোর ১০০ হওয়ার অর্থ, সেখানে ক্ষুধার মাত্রা সর্বোচ্চ। ক্ষুধা সূচক ১০ থেকে ১৯ দশমিক ৯-এর মধ্যে থাকলে ওই দেশ ‘মাঝারি মাত্রার’ ক্ষুধায় আক্রান্ত হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশ ক্ষুধা মেটানোর ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করছে। ২০০০ সালে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৩৩ দশমিক ৮। এবার সেখানে ১৯। গত বছর ১২১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৮৪তম। আর বাংলাদেশের স্কোর ছিল ১৯ দশমিক ৬।

ক্ষুধা মেটানোর সক্ষমতার দিক থেকে দেশগুলোর তালিকায় পাকিস্তানের অবস্থান ১০২তম, স্কোর ২৬ দশমিক ২। আর ভারতের অবস্থান ১১১তম, স্কোর ২৮ দশমিক ৭। আফগানিস্তানের অবস্থান ১১৪তম, স্কোর ৩০ দশমিক ৬। তবে নেপাল (৬৯তম অবস্থান, স্কোর ১৫) এবং শ্রীলঙ্কা (৬০তম অবস্থান, স্কোর ১৩ দশমিক ৩) ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে।

সূচকে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে দক্ষিণ সুদান, বুরুন্ডি, সোমালিয়া, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র ও মাদাগাস্কার। আর সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে বেলারুশ, বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, চিলি, চীন, ক্রোয়েশিয়া, এস্তোনিয়া।