রিকশা ও রিকশাচিত্রের ইউনেসকোর স্বীকৃতি লাভে বাংলা একাডেমিতে ‘আনন্দ সম্মিলন’
ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র ইউনেসকোর বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত হওয়ায় ‘আনন্দ সম্মিলন’ করেছে বাংলা একাডেমি। বৃহস্পতিবার সকালে একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে এ সম্মিলন হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, বাংলা একাডেমির স্বপ্নদ্রষ্টা ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বাংলার লোকসংস্কৃতিকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে পথিকৃতের ভূমিকা পালন করে গিয়েছেন। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর কাজের ধারাবাহিকতায় বাংলা একাডেমির মাঠকর্ম, তত্ত্বীয় গবেষণা এবং সার্বিক উপস্থাপনার ফলে জামদানি শাড়ি, মঙ্গল শোভাযাত্রা এবং সর্বশেষ ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র ইউনেসকো কতৃর্ক বৈশ্বিক অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্তি লাভ করেছে।
নূরুল হুদা এই অর্জন রিকশা পেশা এবং রিকশাচিত্রশিল্পের সঙ্গে যুক্ত সবার প্রতি উৎসর্গ করার কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির ফোকলোর জাদুঘর ও মহাফেজখানা বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) আমিনুর রহমান সুলতান বলেন, বাংলা একাডেমির ফোকলোর উপবিভাগ ঢাকার রিকশাশিল্পীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন মাঠপর্যায়ে কাজ করে এ বিষয়ে যে প্রস্তাবনা ও সারসংক্ষেপ তৈরি করে, তা আজ ইউনেসকো কর্তৃক বৈশ্বিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে। এ অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বাংলা একাডেমির।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক। তিনি বলেন, বাংলা একাডেমি রিকশা ও রিকশাচিত্রের বিশ্বস্বীকৃতির জন্য যে অসাধারণ অবদান রেখেছে, তা অভিনন্দনযোগ্য। সরকারের কাছে জোর দাবি, ঢাকা শহরে রিকশার জন্য সংরক্ষিত ‘রিকশা লেন’ চালু করা হোক। একই সঙ্গে দেশের প্রতিটি রিকশার পেছনে রিকশাচিত্র সংযোজিত থাকাও এখন সময়ের দাবি।
এ ছাড়া আনন্দ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির সচিব, বিভিন্ন বিভাগের পরিচালক এবং রিকশাচিত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির উপপরিচালক সাইমন জাকারিয়া।
৬ ডিসেম্বর ইউনেসকোর বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পায় ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র। এর আগে বাউলগান, মঙ্গল শোভাযাত্রা, জামদানি শাড়ির বয়নপ্রক্রিয়া এবং শীতলপাটি বুননরীতি এ তালিকায় স্থান পায়।