স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে ভোটারের সমর্থনের তথ্য যুক্ত করার বৈধতা নিয়ে রিট

হাইকোর্ট ভবনফাইল ছবি

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার এক শতাংশ ভোটারের সমর্থনের স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে যুক্ত করতে হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের এই বিধানের বৈধতা নিয়ে রিট করা হয়েছে।  

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. রায়হান কাওসার আবেদনকারী হয়ে আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করেন। এতে ১৯৭২ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ১২(৩ক)(ক) বিধানের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়েছে। আইনসচিব ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ১২(৩ক)(ক) বিধান অনুযায়ী, নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন-সংবলিত স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে যুক্ত করে দিতে হবে। তবে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী ইতিপূর্বে জাতীয় সংসদের কোনো নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত হয়ে থাকলে ওই তালিকা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।  

এখতিয়ারসম্পন্ন হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামীকাল বুধবার রিটটি দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারীর আইনজীবী ইউসুফ আলী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে ভোটারের গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে। ভোটার কোন প্রার্থীকে ভোট দেবেন বা দেবেন না, এটি একান্তই তাঁর চিন্তা ও মতপ্রকাশের অধিকার।

সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদ এই নিশ্চয়তা দিয়েছে। আরপিও-এর ১২(৩ক)(ক) বিধানের কারণে ভোটারের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ক্ষুণ্ন হচ্ছে। কারণ, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা দাখিল করতে হচ্ছে। বিধানটি সংবিধানের ২৭, ৩১ ও ৩৯ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়, এসব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।