বাংলাদেশি কারখানার নকশা পেল মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার
রংপুরে কারুপণ্যের সবুজ কারখানার জন্য স্থাপত্যে বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার রিবা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সিলেন্স-২০২৪ পেয়েছে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান ‘নকশাবিদ আর্কিটেক্টস’। আজ বুধবার রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব ব্রিটিশ আর্কিটেক্টস (রিবা) এই পুরস্কারের কথা জানিয়েছে।
তিন বছর পরপর বিশ্বের বিশিষ্ট স্থাপত্যকর্মের জন্য রিবা এই পুরস্কার দিয়ে থাকে। এই বছর বাংলাদেশের নকশাবিদ আর্কিটেক্টস এই পুরস্কার পেল। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রিবার মতে, কারুপণ্যের কারখানার ৪ হাজার কর্মচারীর ৮০ শতাংশই নারী। কারখানাটি তাঁদের সামাজিক মর্যাদা ও বাড়িতে সম্মান বৃদ্ধি করেছে। সেখানকার বনলতা নামের ভাস্কর্যটি নারীর ক্ষমতায়নের শক্তির প্রতীক। কারখানার ভেতর প্রাকৃতিকভাবে আলোকিত, এটি সৌর প্যানেলযুক্ত। কারখানার কার্যক্রম এবং রক্ষণাবেক্ষণে সবুজ কারখানার অর্জনকেও প্রশংসা করেছে সংস্থাটি।
রংপুর শহরের রবার্টসনগঞ্জে স্থাপিত কারুপণ্য রংপুর লিমিটেডের এই কারখানার ভবন শীতল রাখা হয়েছে বিশেষ ধরনের স্থাপত্যকৌশল প্রয়োগ করে। এতে কারখানাটির ৮০ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় হচ্ছে। বিদ্যুতের ব্যবহার সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে এনে একটি সবুজ (গ্রিন) কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে। এর নকশায় কারখানা ভবন ও মানুষের মধ্যে একটি ঘনিষ্ঠ বন্ধন স্থাপন করতে সফল হয়েছেন এর স্থপতি।
এর আগে সামাজিক দায়বদ্ধ স্থাপত্য ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে কারুপণ্য রংপুর লিমিটেডের এই ফ্যাক্টরির জন্য আর্কেশিয়া স্থাপত্য পুরস্কার-২০২৩-এ দুটি স্বর্ণপদক জিতেছিলেন নকশাবিদের প্রধান স্থপতি বায়েজিদ মাহবুব। ২০২২ সালে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব আর্কিটেক্টস (ইউআইএ) এবং ইউএন হ্যাবিটেট যৌথভাবে কারুপণ্যের সবুজ কারখানার জন্য নকশাবিদকে ‘ইউআইএ-২০৩০’ পুরস্কার দিয়েছিল। এ বছর বাংলাদেশের আরেকটি প্রতিষ্ঠান ‘স্থাপতিক’ও এই পুরস্কার জিতেছে। তারা শাহ মোহাম্মদ মহসীন খান দরগাহের জন্য এ পুরস্কার পেয়েছে।