রিজার্ভ চুরির ঘটনায় সিআইডির তদন্ত এখতিয়ারবহির্ভূত: দুদক

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) লোগো

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ৯ বছর ধরে চলা সিআইডির তদন্তকে এখতিয়ারবহির্ভূত বলে দাবি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন (প্রতিরোধ) এমন দাবি করেন।

আক্তার হোসেন বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জড়িত থাকায় বিধি মোতাবেক এই দুর্নীতির তদন্তের একমাত্র এখতিয়ার দুদকের। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনার মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব চেয়ে সিআইডিকে চিঠি পাঠিয়েছে দুদক।

দুদক সূত্র বলছে, গত ৩১ ডিসেম্বর মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব চেয়ে সিআইডিকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। ২ জানুয়ারি দুদকের চিঠিটি পেয়েছে সিআইডি। তবে এখনো সিআইডি থেকে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।

তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার সরিয়ে নিয়েছিল হ্যাকাররা। ওই ঘটনায় মতিঝিল থানায় যে মামলা হয়েছিল, তার তদন্ত ৯ বছরেও শেষ করতে পারেনি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এখন মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব চাইছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমানসহ ১৪ জনের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে সিআইডি। ইতিমধ্যে তাঁদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইমিগ্রেশন পুলিশ।

আরও পড়ুন

২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরি হয়। দুর্বৃত্তরা সুইফট পেমেন্ট পদ্ধতিতে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ওই বিপুল পরিমাণ টাকা সরিয়ে নেয়। এই অর্থ ফিলিপাইনের মাকাতি শহরে রিজাল ব্যাংকের শাখায় চারটি অ্যাকাউন্টে যায় এবং সেখান থেকে দ্রুত টাকা উত্তোলন করা হয়। এর মধ্যে ৩৪ শতাংশ অর্থ ফেরত পাওয়া গেছে। বাকিটা এখনো ফিলিপাইনের একটি ব্যাংকে জমা রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ফিলিপাইন ব্যাংকের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে একটি মামলা করেছে। মামলায় জিততে পারলে বাকি টাকা ফেরত পাওয়া যাবে।