বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে সর্বনিম্ন খরচ পড়বে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের প্যাকেজ ঘোষণা করে এ তথ্য জানায়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। এবার বাংলাদেশ থেকে হজ পালনের সুযোগ পাবেন ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন যেতে পারবেন হজে।
এবার বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে গত বছরের তুলনায় খরচ বেড়েছে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮৭৪ টাকা। এজেন্সিগুলোর সাধারণ প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনে খরচ হয়েছিল ৫ লাখ ২২ হাজার ৭৪৪ টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে হাবের সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন বলেন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের জন্য কোরবানি ছাড়া সর্বনিম্ন প্যাকেজের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। এ ছাড়া প্রতিটি এজেন্সি হজযাত্রীদের চাহিদা অনুসারে বিভিন্ন প্যাকেজ বানাতে পারবে। কোরবানির খরচ প্রত্যেক হজযাত্রীকে আলাদা দিতে হবে। ঘোষিত প্যাকেজে হজযাত্রীদের হারাম শরিফের বাইরের চত্বরের সীমানার সর্বোচ্চ দেড় কিলোমিটার দূরত্বে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৬ ফেব্রুয়ারি বেসরকারি হজযাত্রীদের নিবন্ধন শুরু হবে। হজযাত্রীদের হজ প্যাকেজের পুরো অর্থ শুধু সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা সরাসরি এজেন্সিতে জমা দিয়ে টাকা জমার রসিদ সংরক্ষণ করতে হবে। কোনোভাবেই মধ্যস্বত্বভোগীদের সঙ্গে কোনো লেনদেন করা যাবে না। প্যাকেজের পুরো টাকা ১৫ মার্চের মধ্যে জমা দিতে হবে।
এবার ৬৫ বা এর বেশি বয়সী ব্যক্তিরা হজে যেতে পারবেন। হজযাত্রীদের পাসপোর্টের মেয়াদ ২০২৩ সালের ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকতে হবে। কোনো এয়ারলাইনস এ বছর হজের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইট ছাড়া শিডিউল ফ্লাইটে কোনো হজযাত্রী বহন করতে পারবে না।
এর আগে গতকাল বুধবার সচিবালয়ে হজ ব্যবস্থাপনা–সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভায় সরকারিভাবে হজ প্যাকেজ অনুমোদন ঘোষণা করা হয়। সরকারিভাবে গত বছর দুটি থাকলেও এবার ঘোষিত একটি প্যাকেজ অনুযায়ী, হজযাত্রায় প্রত্যেক হজযাত্রীর ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা ব্যয় হবে। গত বছর সরকারিভাবে হজে যেতে প্যাকেজ-১–এ ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৩৪০ টাকা এবং প্যাকেজ-২–এ ৫ লাখ ২১ হাজার ১৫০ টাকা খরচ হয়েছিল।