কাগজপত্রের ঘাটতিতে নামজারি আবেদন বাতিল করা যাবে না: ভূমি মন্ত্রণালয়
দলিলপত্র বা কাগজপত্রের ঘাটতি থাকলেই নামজারি আবেদন বাতিল করা যাবে না। এমনকি নামজারির আবেদন সম্পূর্ণ তামাদি করাও যাবে না। ভূমি মন্ত্রণালয় এ–সম্পর্কিত এক পরিপত্র জারি করেছে। আজ সোমবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভূমিসচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত ‘ই-নামজারি সিস্টেমে নামজারি নিষ্পত্তি করার বিষয়ে নির্দেশনা’ শীর্ষক পরিপত্রে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পরিপত্রে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) জন্য আছে কিছু সুস্পষ্ট নির্দেশনা।
পরিপত্রটিতে বলা হয়েছে, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সেবা সহজ করতে ই-নামজারি ব্যবস্থায় ক্রয়সূত্রে নামজারি ফরম সম্প্রতি চালু করা হয়েছে। ই-নামজারির নতুন ফরম চালু করার ফলে ডিজিটাল ভূমিসেবা ব্যবস্থায় (ই-নামজারি/ই-খতিয়ান/ডিজিটাল এলডি ট্যাক্স) কিংবা ভূমি অফিসে সংরক্ষিত নেই—এমন কোনো তথ্যের ঘাটতি থাকলেই নামজারি আবেদন নামঞ্জুর করা যাবে না। নামজারি মামলার প্রথম আদেশে কোনো দলিলপত্রের ঘাটতি থাকলে তা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করে দাখিলের জন্য অনুরোধ জানাতে হবে। সাধারণভাবে সাত কার্যদিবস কিংবা আবেদন বিবেচনা করে যুক্তিসংগত সময় দেওয়া যাবে।
আবেদনপত্র সম্পূর্ণ তামাদি না করার ব্যাপারে পরিপত্রে আরও জানানো হয়, এ সময়ের মধ্যে নামজারি আবেদনকারী তথ্য বা কাগজপত্র দাখিল করতে ব্যর্থ হলে আদেশে নামঞ্জুর করা যাবে। পরবর্তীকালে নামঞ্জুর করা আবেদনে চাওয়া তথ্য/দলিলপত্রের প্রাপ্তি সাপেক্ষে পুনরায় নামজারি কার্যক্রম চালু করতে হবে। তখন আর নতুন করে আবেদনের প্রয়োজন নেই। এ ক্ষেত্রে আবেদন আবার কার্যকর হওয়ার তারিখ থেকে নামজারি সেবাপ্রাপ্তির সময় গণনা শুরু হবে।
নামজারি আবেদনের হার্ড কপি জমা না দিলে, দলিলের নামের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের নামের পার্থক্য থাকলে, মুঠোফোন নম্বর ঠিক না হলে বা জমির বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকলে নামজারি বাতিল করতে নিষেধ করা হয়েছে। পরিপত্রে এসব কারণ উল্লেখ করে সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) করণীয় সম্পর্কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হলো যেন ভূমিসেবা পেতে গ্রাহক সময় ও সুযোগ পান। এমনকি প্রয়োজনে বিকল্প করণীয় সম্পর্কে জানতে পারেন।
ই-নামজারি আবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দলিলপত্র যাচাই শেষে সঠিক মনে হলে উভয় পক্ষের প্রাথমিক শুনানি না নেওয়ার জন্যও বলা হয়েছে পরিপত্রে। ই-নামজারি আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে জটিল কোনো বিষয় না থাকলে অনলাইনে শুনানি গ্রহণের জন্য উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। এতে গ্রাহকদের ভূমি অফিসে যাওয়া লাগবে না। যার ফলে গ্রাহকের সময় ও অর্থ বেঁচে যাবে।