পুলিশ–বিএনপি সংঘর্ষের মধ্যে এক যুবদল নেতা নিহত
রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির সহযোগী সংগঠন যুবদলের এক নেতা নিহত হয়েছেন। নিহত শামীম মিয়া রাজধানীর মুগদা এলাকার বাসিন্দা। তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের এক নম্বর ইউনিটের সভাপতি ছিলেন বলে মুগদা থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি কাজী সুমন জানিয়েছেন।
নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে আজ শনিবার দুপুরে কয়েক ঘণ্টা ধরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে বিএনপির ওই কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায়। এ ঘটনায় এর আগে একজন পুলিশ সদস্য নিহতের খবর জানা যায়।
যুবদল নেতা কাজী সুমন বলেন, পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষের মধ্যে আহত হয়ে শামীম মিয়া মারা গেছেন। বিকেলে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার হায়দার ইসলাম খান প্রথম আলোকে বলেন, নয়াপল্টন মসজিদ গলিতে শামীম পড়ে ছিলেন। তিনি তাঁকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য আকুতি জানাচ্ছিলেন। তখন পথচারীরা তাঁকে উদ্ধার করে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবু বিষয়টি নিয়ে যাতে বিতর্ক না হয়, তাই ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
শামীমের মৃত্যুর খবর পেয়ে সন্ধ্যায় রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ছুটে আসেন তাঁর ছোট ভাই নূর মোহাম্মদ। তিনি জানান, তাঁর ভাইয়ের (শামীমের) মুঠোফোন নম্বর থেকে কল করে লাশ নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
নূর মোহাম্মদ বলেন, শামীম মোল্লার স্ত্রী এবং এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তিনি পেশায় প্রাইভেট কারের চালক ছিলেন। তবে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কি না, তা তাঁর জানা নেই। পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ চলার সময় তিন-চারজন লোক শামীমকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে রেখে গেছেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক পুলিশের উপমহাপরিদর্শক মো. রেজাউল হায়দার প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
রেজাউল হায়দার বলেন, বিকেলে পুলিশ হাসপাতালের সামনে যখন পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হচ্ছিল, সে সময় ওই ব্যক্তি হাসপাতালের সামনের পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে তিনি অচেতন হয়ে রাস্তায় পড়ে যান। সেখান থেকে কয়েকজন তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি একজন চিকিৎসকের গাড়ি চালাতেন।