পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টকে লাল গালিচা সংবর্ধনা বাংলাদেশের

পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তাকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসছবি: বাসস

চার দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হোর্তাকে স্বাগত জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় বিমানবন্দরে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টকে লালগালিচা অভ্যর্থনা দেওয়া হয়।

শনিবার রাত সাড়ে ১০টার পর সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় এসে পৌঁছান প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা।

রামোস হোর্তাকে বিমানবন্দর থেকে সরাসরি প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সফরকালে তিনি এখানেই থাকবেন। ১৪ থেকে ১৭ ডিসেম্বর ঢাকায় অবস্থানকালে তিমুর-লেস্তের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ১৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল তাঁর সঙ্গে থাকবে।

পুর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে একাধিক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ও অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। সফরের দ্বিতীয় দিন রোববার সকালে তিনি পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

পরে রামোস হোর্তা প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং এরপর প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক করবেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সময়সূচি অনুযায়ী, বৈঠকের পর একটি যৌথ প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় দুই দেশ ভিসা অব্যাহতি–সংক্রান্ত চুক্তি এবং ফরেন অফিস কনসালটেশনের (এফওসি) জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

রোববার বিকেলে রামোস হোর্তা বাংলাদেশে তিমুর-লেস্তের অনারারি কনসাল কুতুবউদ্দিন আহমেদ এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ও বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়ালের সঙ্গে দেখা করবেন।

তৃতীয় দিন ১৬ ডিসেম্বর তিমুর-লেস্তের প্রেসিডেন্ট বঙ্গভবনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তিনি সাভারে জাতীয় শহীদ স্মৃতিসৌধও পরিদর্শন করবেন।

রামোস হোর্তা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বিজয় উপলক্ষে ৫৪তম বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

সফরের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর তিমুর-লেস্তের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে ‌‘সমসাময়িক বিশ্বে শান্তির চ্যালেঞ্জ’ বিষয়ে বক্তব্য দেবেন।

তিনি বাংলাদেশি ছাত্র ও তরুণ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। তাঁর দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা, জনগণের ভূমিকা এবং তিমুর-লেস্তের স্বাধীনতা-উত্তর আকাঙ্ক্ষা শেয়ার করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।