জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাচ্ছে না নোয়াখালী শহর
কয়েক দফা বৃষ্টিতে সৃষ্টি হওয়া জলাবদ্ধতার কারণে দুর্ভোগে রয়েছেন নোয়াখালী শহরের বাসিন্দারা। শহরের বিভিন্ন সড়ক পানিতে ডুবে থাকায় বাসিন্দাদের তা মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ডুবে থাকা সড়কে খানাখন্দ থাকার কারণে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে বিভিন্ন যানবাহনকে।
কয়েক দিন ধরে থেমে থেমে চলা বৃষ্টি গত শনিবার বেলা তিনটার পর থেকে কিছুটা কমতে শুরু করে। আজ রোববার সকালে দেখা দেয় রোদ। জেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল সকাল ৯টা পর্যন্ত এর আগের ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীতে ১১৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। তবে গতকাল বেলা তিনটা থেকে তেমন ভারী বৃষ্টি হয়নি। এরই মধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে সতর্কতা সংকেত তুলে নেওয়া হয়েছে। বৃষ্টির মাত্রা ধীরে ধীরে কমে আসবে।
আজ সকালে সরেজমিনে শহরের লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার কলেজ রোড, হাকিম কোয়ার্টার রোড, সেন্ট্রাল রোড, জেলা জামে মসজিদ সড়ক, জেলা জজ আদালত সড়ক ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, সব কটি সড়কই পানিতে ডুবে রয়েছে। সড়কের পানি মাড়িয়ে অফিস–আদালতে যাচ্ছেন কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সেবাপ্রত্যাশীরা। শিক্ষার্থীদেরও পানি মাড়িয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে দেখা যায়।
শহরের আবদুর রশিদ উচ্চবিদ্যালয়, লক্ষ্মীনারায়ণপুর পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পুলিশ কেজি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, হরিনারায়ণপুর ইউনিয়ন উচ্চবিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায়—প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের মাঠে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। এতে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
লক্ষ্মীনারায়ণপুর পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সিয়াম হোসেন বলে, পরীক্ষা থাকার কারণে পানি মাড়িয়ে বিদ্যালয়ে আসতে হয়েছে। এসে দেখে বিদ্যালয়ের মাঠেও পানি।
লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার বাসিন্দা জসিম উদ্দিন বলেন, সকালে হাকিম কোয়ার্টার সড়কে রিকশায় করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পানির নিচে থাকা সড়কের খানাখন্দে পড়ে রিকশাটি উল্টে যাওয়ার সময় তিনি লাফ দিয়ে রক্ষা পান।
নোয়াখালী পৌরসভার প্রশাসক মুহাম্মদ ইসমাঈল প্রথম আলোকে বলেন, ‘শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে এরই মধ্যে পানিনিষ্কাশনের নালা ও খালগুলো পরিষ্কার, দখলমুক্ত করাসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করা যায়, শিগগিরই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।’