চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় ৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত, নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা

বৃষ্টির পর চট্টগ্রাম নগরের কাপাসগোলা এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। আজ বেলা ১১টায় তোলাজুয়েল শীল

টানা ভারী বর্ষণে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। আজ রোববার সকাল থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। এতে সকাল নয়টা থেকে বিভিন্ন এলাকায় পানি জমতে শুরু করে। কোথাও কোথাও গোড়ালি থেকে হাঁটুসমান পানিতে তলিয়ে যায় রাস্তাঘাট ও অলিগলি।

বৃষ্টিতে নগরের চকবাজারের কাঁচাবাজার, মুহাম্মদ শাহ আলী লেন, হাসমত মুন্সেফ লেন, কাপাসগোলা, বাকলিয়ার ডিসি সড়ক এলাকায় জলাবদ্ধতা হয়েছে। সকালের ভারী বর্ষণ ও জলাবদ্ধতায় নগরবাসী দুর্ভোগে পড়েছেন। বিশেষ করে আজ সকালে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রে যেতে পরীক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকদের বিপাকে পড়তে হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত শনিবার সকাল নয়টা থেকে রোববার সকাল নয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এর মধ্যে রোববার সকাল নয়টা থেকে সকাল নয়টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয় চট্টগ্রামে।

এদিকে এই বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে পড়ার কথা জানিয়ে চকবাজারের বাসিন্দা আবদুল হামিদ বলেন, সকালে ভারী বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর থেকে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। টানা বৃষ্টিতে সে আশঙ্কা শেষ পর্যন্ত সত্য হয়েছে। বৃষ্টিতে গলিতে হাঁটুসমান পানিতে তলিয়ে যায়। তা ডিঙিয়ে কর্মস্থলে যেতে হয়েছে।

নগরের বাকলিয়ার ডিসি সড়কের বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, এলাকা যেখানে সড়ক উঁচু করা হয়েছে, সেখানে কম পানি উঠেছে। আর সড়ক যেখানে আগের মতো রয়েছে, সেখানে হাঁটুর ওপরে পানি জমেছে। এতে অফিসে যেতে দুর্ভোগে পড়তে হয়।

গত বৃহস্পতিবার আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বর্ষণের সতর্কবাণী দিয়েছিল। অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদের সই করা করে সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ওপর মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, সিলেট, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও শুক্রবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এই সময় প্রতিদিন ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার এবং ২৮৯ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে।

আজ সকালে তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের চকবাজার এলাকায় হাটু সমান পানি জমে যায়
ছবি: সংগৃহীত

ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার ও বান্দরবন জেলার পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কাও রয়েছে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাবিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোবারক আলী বেলা সাড়ে ১১টায প্রথম আলোকে বলেন, সকালের বৃষ্টিতে কোথাও পানি ওঠার খবর পাননি তাঁরা।