গাছ কাটা ও লাগানোর বিষয়ে পরিবেশবান্ধব আইন-বিধি করতে আইনি নোটিশ

ফাইল ছবি

সারা দেশে তাপপ্রবাহ কমাতে এবং গাছ কাটা ও লাগানোর বিষয়ে পরিবেশবান্ধব আইন, বিধিমালা বা নীতি প্রণয়নের জন্য অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

পরিবেশসচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রধান বন সংরক্ষক, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক ও কুষ্টিয়ার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বরাবর আজ বৃহস্পতিবার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে নোটিশটি পাঠানো হয়েছে। নোটিশটি পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানভীর আহমেদ।

‘দাবদাহের বিপদে রাজধানীর ৯০% এলাকা’, ‘সারা দেশে গাছের জন্য হাহাকার, অথচ কুষ্টিয়ায় কেটে ফেলা হচ্ছে ৩ হাজার গাছ’ ও ‘কুষ্টিয়ার সেই ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত করল বন বিভাগ’—শিরোনামে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন তুলে ধরে নোটিশটি পাঠানো হয়।

পরে আইনজীবী তানভীর আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, দেশের ভৌগোলিক সীমানার ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। অথচ আছে ৯ শতাংশ। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ কমানোর জন্য এখনো দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। ফিনল্যান্ডের আবহাওয়া সবচেয়ে ভালো। দেশটিতে একটি গাছ কাটলে বাধ্যতামূলক তিনটি গাছ লাগাতে হয়। ২০২৩ সালে কুষ্টিয়ার যদুবয়রা থেকে সান্দিয়ারা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়কের প্রায় ১০ হাজার গাছ কাটা হয়েছে। কিন্তু সেখানে কোনো গাছ লাগানো হয়নি। দেশে গাছ কাটা ও লাগানোর বিষয়ে পরিবেশবান্ধব কোনো আইন, বিধি বা নীতিমালা নেই। তাই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

আইনজীবী তানভীর আহমেদ বলেন, নোটিশ পাওয়ার পর তাপপ্রবাহ কমাতে এবং গাছ কাটা ও লাগানোর বিষয়ে পরিবেশবান্ধব আইন, বিধি বা নীতিমালার জন্য তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ জানাতে বলা হয়েছে। তা না হলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।