প্রতিমন্ত্রী পলকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ব্যবস্থা নিতে নিষ্ক্রিয়তা প্রশ্নে রিট
নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দেলোয়ার হোসেনকে চেয়ারম্যান ঘোষণার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে রিট হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটের ওপর শুনানি হয়। আদালত রোববার শুনানির পরবর্তী দিন রেখেছেন।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এবং নাটোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য জুনাইদ আহ্মেদ পলকের বিরুদ্ধে সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ‘বেআইনি’ ও ‘অননুমোদিত’ হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনসহ বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা প্রশ্নে মো. আসাদুজ্জামান নামের সিংড়ার এক বাসিন্দা বুধবার রিটটি করেন।
আজ আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী বি এম ইলিয়াস কচি, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
পরে আইনজীবী বি এম ইলিয়াস কচি প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহ্মেদ তাঁর শ্যালককে ওই নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাস করানোর জন্য কাউকে মনোনয়নপত্র কিনতে দেননি বলে গণমাধ্যমে এসেছে। এ ক্ষেত্রে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইনসচিব ও নির্বাচন কমিশনের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে রিটে। দেলোয়ার হোসেন নামের একজন চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তিনি যেদিন দাখিল করেন, সেদিন প্রতিমন্ত্রীর শ্যালক তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে যান বলে পত্রিকায় এসেছে। পরে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীকালে প্রতিমন্ত্রীর শ্যালক মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।’
প্রত্যাহারের পর আর কোনো প্রার্থী না থাকায় দেলোয়ারকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয় বলে জানান রিট আবেদনকারীর এই আইনজীবী। বি এম ইলিয়াস বলেন, ‘ফলে নির্বাচন হয়নি, সম্ভাব্য প্রার্থী রিট আবেদনকারীও মনোনয়নপত্র কিনতে পারেননি। তাই মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইনসচিব ও নির্বাচন কমিশনের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি চেয়ারম্যান পদে ঘোষিত ফলাফল স্থগিত চাওয়া হয়েছে। রিটের ওপর শুনানি হয়েছে। আদালত রোববার পরবর্তী দিন রেখেছেন।’