‘পরিবহন ধর্মঘটে’ সাতক্ষীরা থেকে খুলনা যাচ্ছে না বাস
সাতক্ষীরাসহ খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় আজ শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে ২ দিনের ‘পরিবহন ধর্মঘট’। এ কারণে আজ সাতক্ষীরা থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি, খুলনা থেকেও কোনো বাস আসেনি। তবে যশোরসহ সাতক্ষীরা জেলার অভ্যন্তরীণ রুটে বাস চলছে।
খুলনায় কাল শনিবার বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের আগের দিন এই ‘পরিবহন ধর্মঘট’ শুরু হলো।
সাতক্ষীরা বিএনপি বলছে, গণসমাবেশে যোগ দিতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেই জেলার অনেক নেতা-কর্মী খুলনা গেছেন। বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও জেলা থেকে আরও অনেক নেতা-কর্মী নানা কৌশলে খুলনা যাবেন।
‘সড়ক-মহাসড়কে নছিমন-করিমন-ভটভটি-ইজিবাইকসহ সব অবৈধ যান চলাচল বন্ধের’ দাবিতে কথিত পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় খুলনা জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস মালিক সমিতি। ধর্মঘটের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে খুলনা মোটরশ্রমিক ইউনিয়ন। বিএনপির দাবি, খুলনায় বিএনপির গণসমাবেশে জনসমাগম ঠেকাতে ষড়যন্ত্র করে এই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
আজ সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে সাতক্ষীরা বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, এখান থেকে কোনো বাস খুলনার উদ্দেশে যাচ্ছে না।
সাতক্ষীরা-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের বিনেরপোতা এলাকায় সকাল সাড়ে সাতটা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত অপেক্ষা করে খুলনার উদ্দেশ্যে যাত্রীবাহী কোনো মাইক্রোবাসও ছেড়ে যেতে দেখা যায়নি।
সকাল থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত জেলা থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সড়কপথে খুলনার উদ্দেশে যেতে দেখা যায়নি।
খুলনার গণসমাবেশে সাতক্ষীরা থেকে ১০ হাজার নেতা-কর্মীর অংশ নেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে বলে জেলা বিএনপি জানায়।
সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ ইফতেখার আলী আজ বেলা পৌনে ১১টার দিকে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, তিনি এখন খুলনায় রয়েছেন। তিনিসহ জেলা বিএনপির প্রায় দুই হাজার নেতা-কর্মী গতকাল রাতেই খুলনায় পৌঁছান। খুলনার গল্লামারিতে তাঁদের একটি গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে নেতা-কর্মীরা যে যাঁর মতো খুলনায় আসেন।
সৈয়দ ইফতেখার বলেন, খুলনায় গণসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে গত বুধবার তাঁরা একটি প্রস্তুতি সভা করেন। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জেলা থেকে হাজারো নেতা-কর্মী গণসমাবেশে যোগ দেবেন।