মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর আরও ৭ সদস্য পালিয়ে এলেন বাংলাদেশে
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলতে থাকা সংঘাতের জেরে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও সাত সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এ নিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশটি থেকে আসা বিজিপি সদস্যের সংখ্যা দাঁড়াল ১১৩। আজ মঙ্গলবার সকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজিবি বলেছে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১১৩ সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। বিজিবি তাঁদের নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় যুদ্ধ জোরালো করেছে আরাকান আর্মিসহ কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। তারা সম্মিলিতভাবে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। এর মধ্যে তারা কোনো কোনো সীমান্ত শহর দখল করে নিয়েছে।
মিয়ানমারের রাখাইন সীমান্তে সেনা ও বিদ্রোহীদের লড়াইয়ে গতকাল সোমবার প্রাণহানির ঘটনা ঘটে বাংলাদেশে। গতকাল মিয়ানমার থেকে ছোড়া গোলায় (মর্টার শেল) বাংলাদেশে দুজন নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বাসিন্দারা জানান, গতকাল বেলা পৌনে তিনটার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে একটি বাড়িতে মর্টার শেল এসে পড়ে। এতে দুজন নিহত হন। তাঁদের একজন বাংলাদেশি নারী ও অন্যজন রোহিঙ্গা পুরুষ।
মিয়ানমার সীমান্তে উদ্ভূত পরিস্থিতির মধ্যে দেশের সশস্ত্র বাহিনী ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে ধৈর্য ধারণ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের অনুপস্থিতিতে তাঁর পক্ষে গতকাল জাতীয় সংসদকে এ তথ্য জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে সরকার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, মিয়ানমার থেকে যাঁরা পালিয়ে এসেছেন, তাঁদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা চলছে।