৬০০ কোটি টাকার বেশি কর দাবি, গ্রামীণ কল্যাণের রিট খারিজ
পুনর্মূল্যায়নের পর পাঁচ করবর্ষের বিপরীতে ৬০০ কোটির বেশি টাকা প্রদেয় কর দাবি নিয়ে কর কমিশনারের সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে গ্রামীণ কল্যাণের করা পৃথক রিট খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিষয়বস্তুর ওপর শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
গ্রামীণ কল্যাণের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আদালতে গ্রামীণ কল্যাণের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল, সরদার জিন্নাত আলী ও আবদুল্লাহ-আল-মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও সহকারী অ্যটর্নি জেনারেল তাহমিনা পলি।
রায়ের পর সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তাহমিনা পলি প্রথম আলোকে বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের মালিকানাধীন গ্রামীণফোনের শেয়ার থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশের ৪২ দশমিক ৬৫ শতাংশ গ্রামীণ কল্যাণ আয় করে, যা আয়করের যোগ্য বলে রায়ে এসেছে। পাঁচটি করবর্ষের জন্য গ্রামীণ কল্যাণের কাছে কর বাবদ ৬৬৬ কোটি টাকা দাবি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর)। রিট দুটি খারিজ হওয়ায় আয়কর বাবদ গ্রামীণ কল্যাণের কাছ থেকে ওই অর্থ আদায় করতে পারবে এনবিআর।
এদিকে গ্রামীণ কল্যাণের আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।
পুনর্মূল্যায়নের পর ২০১২-১৩, ২০১৩-১৪, ২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭—এই করবর্ষের জন্য গ্রামীণ কল্যাণের কাছে প্রদেয় কর দাবি ঘিরে গ্রামীণ কল্যাণ ২০১৭ সালে পৃথক রিট করে। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দেন। শুনানি শেষে গত বছরের ১৭ অক্টোবর হাইকোর্ট রায় দেন।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে এনবিআর গত বছর পৃথক লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে। আপিল বিভাগ গত ১১ মার্চ লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে হাইকোর্টে মূল বিষয়বস্তুর ওপর শুনানির নির্দেশ দেন। শুনানি শেষে আজ রুল খারিজ করে রায় দেওয়া হয়।