তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে সংসদে বিল তোলার পরপর সংসদীয় কমিটির বৈঠক
দেশে আরও তিনটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য জাতীয় সংসদে আলাদা তিনটি বিল তোলা হয়েছে। নতুন এই তিন বিশ্ববিদ্যালয় হবে নারায়ণগঞ্জ, সাতক্ষীরা ও লক্ষ্মীপুরে। বিল তিনটি পরীক্ষা করে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সংসদে বিল ওঠার পরপরই সংসদীয় কমিটি এগুলো পরীক্ষা করে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে।
বর্তমানে দেশে ৫৪টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে। আর অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে ১১৩টি। এর মধ্যে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নতুন আরও তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে।
সম্প্রতি আরও একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দেশের আরও ছয় জেলায় নতুন ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। জেলাগুলো হলো রাজবাড়ী, ভোলা, জয়পুরহাট, কক্সবাজার, নড়াইল ও বরগুনা। কিছুদিন আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর এ বিষয়ে মতামত বা সুপারিশ করেছে ইউজিসি।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি আজ বৃহস্পতিবার ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জ বিল’, ‘লক্ষ্মীপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিল’ এবং ‘সাতক্ষীরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিল’ সংসদে তোলেন। পরে বিল তিনটি পরীক্ষা করে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
তবে সংসদে বিল তোলার দেড় ঘণ্টা পর সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বৈঠকে বসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। এক ঘণ্টার কম সময় বৈঠক করে কমিটি তিনটি বিল নিয়ে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে।
সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত আটটায় সংসদীয় কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছিল। কিন্তু বিলটি ওঠার পরপরই ওই বৈঠকের সময় দুই ঘণ্টা এগিয়ে এনে সন্ধ্যা ছয়টায় পুনর্নির্ধারণ করা হয়।
বিল তিনটির উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত পৃথক বিবৃতিতে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিশিক্ষায় পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে অগ্রসরমান বিশ্বের সঙ্গে সংগতি রক্ষা ও সমতা অর্জন এবং জাতীয় পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা, বিশেষ করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আধুনিক জ্ঞানচর্চা ও পঠন-পাঠনের সুযোগ সৃষ্টি ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এসব বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।