পাসপোর্ট চেয়ে আদালতে সাংবাদিক রোজিনার করা আবেদন নাকচ
দণ্ডবিধি ও অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের মামলায় জমা দেওয়া পাসপোর্ট নিজ জিম্মায় চেয়ে প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি রোজিনা ইসলামের আবেদন নাকচ করেছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর গতকাল রোববার এ আদেশ দেন।
এর আগে রোজিনা ইসলামের পাসপোর্ট জিম্মায় দেওয়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন তাঁর আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী। তিনি আদালতকে বলেন, রোজিনা ইসলাম আইন ও আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এর আগেও তিনি আদালতের অনুমতি নিয়ে বিদেশে চিকিৎসা করিয়ে পাসপোর্ট আদালতে জমা দিয়েছেন। আদালতের কোনো শর্ত তিনি বরখেলাপ করেননি।
এহসানুল হক সমাজী বলেন, রোজিনা ইসলাম অসুস্থ। বিদেশে চিকিৎসা করাতে চান। আবার রোজিনা ইসলামের স্বামীও অসুস্থ। বিদেশের একটি হাসপাতালে তাঁর অস্ত্রোপচার হবে। এসব যুক্তি তুলে ধরে রোজিনা ইসলামের জিম্মায় পাসপোর্ট দেওয়ার আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী ও প্রশান্ত কুমার কর্মকার। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত রোজিনা ইসলামের পাসপোর্ট জিম্মায় দেওয়ার আবেদন নাকচ করেন আদালত।
এ ব্যাপারে এহসানুল হক সমাজী প্রথম আলোকে বলেন, পাসপোর্ট জিম্মায় ফেরত আবেদন নাকচের আদেশে সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
এদিকে গতকাল মামলায় অধিকতর তদন্তের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন ধার্য ছিল। তবে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন এদিন কোনো প্রতিবেদন জমা দেয়নি। আগামী ২৫ জুন প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নতুন তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
২০২১ সালের ১৭ মে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি কক্ষে প্রায় ছয় ঘণ্টা আটকে রেখে হেনস্তা ও নির্যাতন করা হয়। পরে শাহবাগ থানায় তাঁকে হস্তান্তর করা হয়। মামলা করা হয় অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ও দণ্ডবিধির দুটি ধারায়।