মতিউর, তাঁর স্ত্রী ও ছেলের বিদেশে যাওয়া–আসার অনুমতি চেয়ে রিট খারিজ
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মো. মতিউর রহমান, তাঁর স্ত্রী লায়লা কানিজ ও ছেলে আহমদ তৌফিকুর রহমানের বিদেশ যেতে ও পুনরায় দেশে ফিরে আসার অনুমতি চেয়ে করা রিট খারিজ হয়েছে।
দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত চেয়ে মতিউর, তাঁর স্ত্রী ও ছেলে ওই রিট করেছিলেন। বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার রিটটি উত্থাপিত হয়নি বিবেচনায় খারিজ করে দেন।
এর আগে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ গত ২৪ জুন এক আদেশে মতিউর, তাঁর স্ত্রী লায়লা ও ছেলে তৌফিকুরের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন। এ আদেশের বৈধতা নিয়ে মতিউরসহ তিনজন রিট করেন। রিটে বিদেশে যেতে ও পুনরায় দেশে ফেরার অনুমতি এবং বিদেশযাত্রায় ২৪ জুন দেওয়া নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত চাওয়া হয়।
আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শামীম হোসেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজ বিন ইউসুফ ও শফিকুর রহমান এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির উপস্থিত ছিলেন।
পরে আইনজীবী এস এম শামীম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বিদেশে যেতে ও দেশে ফেরার অনুমতি চেয়ে তিনজন রিটটি করেছিলেন। তাঁরা বিদেশে যাচ্ছেন না। যে কারণে রিটটি উপস্থাপন করা হয়নি। আদালত রিটটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন।
এর আগে পবিত্র ঈদুল আজহার সময় এনবিআরের তৎকালীন সদস্য মতিউর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে মুশফিকুর রহমান ১৫ লাখ টাকার ছাগল কিনতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনায় আসেন। ছেলের বিলাসী জীবনযাপনের সূত্র ধরেই মতিউরের সম্পদের বিষয়টি আলোচনায় আসে।
আলোচিত মতিউর ও তাঁর স্বজনদের নামে থাকা ৬৫ বিঘা (২ হাজার ১৪৫ শতাংশ) জমি, ৮টি ফ্ল্যাট, ২টি রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট এবং ২টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সম্পত্তি তাঁর প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজের নামে। তাঁর নামে প্রায় ২৮ বিঘা জমি ও ৫টি ফ্ল্যাট রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার মিরপুরে একটি ভবনেই রয়েছে চারটি ফ্ল্যাট। লায়লা কানিজ তখন নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।