শহীদদের ঋণ শোধের ন্যূনতম উপায় হতে পারে দায়িত্ব পালনে আন্তরিকতা: ঢাবি উপাচার্য

অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানছবি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ করতে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, এটিই হতে পারে শহীদদের রক্তের ঋণ শোধের ন্যূনতম উপায়। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এ কথাগুলো বলেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, ‘যে কটি বড় ঘটনা আমাদের জাতীয়তাবাদ ও জাতিসত্তার পরিচায়ক, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস অন্যতম। দেশ স্বাধীন না হলে আমরা পদপদবি, মর্যাদা কিছুই পেতাম না। কী পরিমাণ আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা একটি দেশ পেয়েছি, জাতি হিসেবে সেটা সবার জানা প্রয়োজন। শহীদ পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের প্রতিনিয়ত অন্তরের যে রক্তক্ষরণ, তা হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করতে হবে।’
চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের তাৎপর্য বোঝার জন্য ঐতিহাসিক এসব ঘটনার পরম্পরা জানা দরকার বলে মন্তব্য করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, সব অন্যায়, অবিচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদা সোচ্চার থেকেছে।

দেশের প্রতিটি ক্রান্তিকালে এই প্রতিষ্ঠান জাতির পাশে দাঁড়িয়েছে। ’৭১-এর ধারাবাহিকতায় ’২৪–এও তরুণেরা জাতির পাশে দাঁড়িয়েছে, অসাধ্য সাধন করেছে।
উপাচার্য বলেন, ১৯৭১-এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করে সাঈদ-মুগ্ধরা ২০২৪ সালে দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন। ঐতিহাসিক এসব ঘটনা পরম্পরার তাৎপর্য অনুধাবন করে এ বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তুলতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে থাকা শহীদদের কবরগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে তিনি সবার সহযোগিতা চান।
সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শহীদ গিয়াস উদ্দিন আহমদের ছোট বোন অধ্যাপক সাজেদা বানু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ পরিবার কল্যাণ সমিতির নেতা প্রমুখ বক্তব্য দেন।