উপজেলা নির্বাচনে হেরে ইউপি সদস্যের পদ ফিরে পেতে রিট

হাইকোর্ট ভবনফাইল ছবি

বরগুনার বেতাগী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হেরে আগের পদ কাজিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সংরক্ষিত নারী সদস্যের পদ ফিরে পেতে রিট করেছেন এক নারী।

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে আজ বৃহস্পতিবার রিটটি শুনানির জন্য ওঠে।

রিটটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়ে আদালত নিয়মিত বেঞ্চে উপস্থাপন করতে বলেছেন বলে জানান রিট আবেদনকারীর আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নিয়মিত বেঞ্চে রিটটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে।

রিট আবেদন থেকে জানা যায়, বরগুনার বেতাগী উপজেলার ৬ নম্বর কাজিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (১, ২, ৩ নম্বর ওয়ার্ড) সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসেবে রীনা গাজী নির্বাচিত হন। ২০২১ সালের ৫ জুলাই তিনি শপথ নেন। তাঁর মেয়াদ ছিল ২০২৬ সালের ৪ জুলাই পর্যন্ত।

নথিপত্র থেকে জানা যায়, বেতাগী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক উল্লেখ করে রীনা গাজী ইউপি সদস্যের পদ থেকে অব্যাহতির জন্য গত এপ্রিলে বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গত ১৭ এপ্রিল এক স্মারকে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাবরে চিঠি লেখেন। গত ২১ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে হেরে যান রীনা গাজী।

‘ভুলক্রমে’ পদত্যাগ

পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারের জন্য স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর চলতি মাসে পৃথক আবেদন দেন রীনা গাজী। আবেদনের ভাষ্য, উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য পদত্যাগ করা বাধ্যতামূলক ছিল না। ভুলক্রমে পদত্যাগ করেছেন। তাই পদত্যাগপত্রটি প্রত্যাহার করে ওই পদে জনসেবা করার সুযোগ চাওয়া হয়। এই আবেদনের পর ফল না পেয়ে চলতি সপ্তাহে হাইকোর্টে রিট করেন রীনা গাজী।

আদালতে রীনা গাজীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সগীর হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান।

রিটের প্রার্থনায় দেখা যায়, সংরক্ষিত নারী সদস্যের পদ থেকে রীনা গাজীকে অব্যাহতির বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ১৭ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো স্মারক প্রশ্নে রুল চাওয়া হয়েছে। রুল হলে তা বিচারাধীন অবস্থায় ১৭ এপ্রিলের এই স্মারকের কার্যক্রম স্থগিত এবং সংরক্ষিত নারী সদস্যপদ শূন্য ঘোষণা করা থেকে বিরত থাকতে বিবাদীদের প্রতি নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে।