বন্ধ শিল্পপ্রতিষ্ঠান ৩৯৭টি: সংসদে শিল্পমন্ত্রী
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন দেশে এখন বন্ধ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩৯৭। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের উত্তরে শিল্পমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আজ বিকেলে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হয়।
বন্ধ শিল্পকারখানার তথ্য তুলে ধরে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিসিকের নিয়ন্ত্রণাধীন রুগ্ণ/বন্ধ শিল্পকারখানা ৩৮২টি, বিসিআইসির নিয়ন্ত্রণাধীন বন্ধ কারখানা ৫টি, বিএসএসআইসির নিয়ন্ত্রণাধীন চিনিকল ৬টি, বিএসইসির নিয়ন্ত্রণাধীন বন্ধ কারখানা ৪টি।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবদুল কাদের আজাদের এক প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী জানান, আন্তর্জাতিক ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলো যাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হয়, সে জন্য সরকার ২০০৯–২৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে এবং সাফল্যও এসেছে। তিনি জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পাঁচটি শিল্পনগরী, তিনটি শিল্পপার্কসহ বিসিকের ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে ৩ হাজার ৮১১টি শিল্প প্লটে সম্ভাব্য ৩ হাজার ৫৬৫টি শিল্প ইউনিট স্থাপিত হবে।
শিল্পমন্ত্রী জানান, বিনিয়োগে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ১২২টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১৬৭টি শিল্প প্লট বরাদ্দ দিয়েছে বিসিক। নারায়ণগঞ্জের পঞ্চবটীতে হোসিয়ারি শিল্পনগরী, তারাবতে জামদানি শিল্পনগরী; ঢাকার সাভারে চামড়া শিল্পনগরী; মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় এপিআই শিল্পপার্ক এবং মুন্সিগঞ্জে বিশেষায়িত শিল্পনগরী/শিল্পপার্ক বাস্তবায়িত হয়েছে।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন জানান, চামড়া শিল্পনগরের প্রকল্পটি ১৯৯ দশমিক ৪০ একর জমিতে ঢাকার সাভারে বাস্তবায়িত হয়েছে। সেখানে ২০৫টি শিল্প প্লটে ১৬২টি ট্যানারি কারখানা হয়েছে।