শেখ হাসিনা, জেনারেল আজিজসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জেনারেল আজিজসহ আহমেদ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরেকটি হত্যা মামলা নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। সাবেক বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) আবদুর রহিমকে হত্যার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে এ মামলার আবেদন করা হয়। একই মামলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সাবেক মহাপরিচালক (পরে সেনাপ্রধান) আজিজ আহমেদসহ মোট ১৩ জনকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন জানানো হয়েছে।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আজ রোববার এ মামলার নেওয়ার জন্য আবেদন করেন নিহত আবদুর রহিমের ছেলে আইনজীবী আবদুল আজীজ।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। এর পর থেকে গতকাল শনিবার পর্যন্ত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অন্তত ৫৪টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৫০টি হত্যা মামলা। এসব মামলায় অনেক সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যকেও আসামি করা হয়েছে।

এরপর আজ ঢাকা সিএমএম আদালতে নতুন এ মামলা নেওয়ার আবেদন করা হয়। মামলায় শেখ হাসিনা ও আজিজ আহমেদ ছাড়া আরও যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযেগা আনা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সেলিম, শেখ হেলাল, মির্জা আজম, নূরে আলম চৌধুরী, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন কারা মহাপরিদর্শক আশরাফুল ইসলাম খান, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তৎকালীন চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম ও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের তৎকালীন জেল সুপার।

মামলার আবেদনে বাদী উল্লেখ করেন, ২০১০ সালের ২৯ জুলাই সাবেক বিডিআরের ডিএডি আবদুর রহিমকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করা হয়। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার পরিকল্পিতভাবে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যা করে। সেদিন আবদুর রহিমকেও হত্যার চেষ্টা করা হয়। পরে আবদুর রহিমকে আসামি করা হয়। এরপর আবদুর রহিমকে রাজসাক্ষী করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। রাজসাক্ষী না হলে পরিণাম ভালো হবে না বলে হুমকিও দেওয়া হয়। পরে ইনজেকশন পুশ করে কারাগারের ভেতর তাঁকে হত্যা করা হয়।