মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ নিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ নেই বলে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন। তবে জাতীয়করণের যৌক্তিকতা আছে কী নেই, সেটিসহ শিক্ষা, শিক্ষকদের সার্বিক মানোন্নয়নের লক্ষ্যে দুটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। গবেষণাভিত্তিক এই দুই কমিটির প্রতিবেদনের পর এ নিয়ে পরবর্তী সময়ে করণীয় ঠিক করা হবে।
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান। একই সঙ্গে তিনি আন্দোলন বন্ধ করে শিক্ষকদের ক্লাস ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান।
আগামী আগস্টের শেষ নাগাদ এই দুটি কমিটি গঠন করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি জানান, একটি কমিটি জাতীয়করণসহ শিক্ষা ও শিক্ষকদের মান্নোয়নের প্রয়োজনীয়তা, যৌক্তিকতা ও করণীয় বিষয়ে গবেষণা করবে। আরেকটি কমিটি আর্থিক বিষয়টি নিয়ে কাজ করবে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার আগে শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনার সময়ও বিষয়টি শিক্ষকদের জানান শিক্ষামন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, এ সময়ে এই দাবি (মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ) অবাস্তব। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে আন্দোলন সঠিক নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় তিনি শিক্ষকনেতাদের বিভিন্ন বক্তব্য শোনেন।
শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের (সরকারিকরণ) দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনরত শিক্ষকনেতারা করণীয় ঠিক করতে নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসেছেন বলে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের একজন জানিয়েছেন। এই বৈঠকের পর আন্দোলনের বিষয়ে তাঁদের পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির ডাকে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১১ জুলাই থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকেরা। প্রথমে কিছুসংখ্যক শিক্ষক এ কর্মসূচি শুরু করলেও রোববার থেকে বিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ রেখে বিপুলসংখ্যক শিক্ষক এই কর্মসূচি শুরু করেছেন।
আন্দোলন চলাকালে এর আগে গত সোমবার আন্দোলনকারী শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নেহাল আহমেদ। আজ শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হলো।