ফেনী বিসিক শিল্পনগরী শিল্পমালিক সমিতির (চাড়িপুর) নেতারা দাবি করেছেন, স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় শিল্পনগরীর ৩৭টি কারখানার ১৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন তাঁরা। আজ সোমবার বিকেলে ফেনী প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির নেতারা এসব তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য দেন বিসিক শিল্প নগরী শিল্প মালিক সমিতির সহসভাপতি মাঈন উদ্দিন কামরান। তিনি বলেন, ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত চাড়িপুর বিসিক শিল্পনগরীতে উৎপাদনে রয়েছে ৩৭টি কলকারখানা। এসব কারখানায় ৪ হাজার লোকের কর্মসংস্থান রয়েছে। ভয়াবহ বন্যার সময় শিল্পনগরী ৫ ফুট পানিতে তলিয়ে ছিল। উৎপাদিত মালামাল, কাঁচামাল, যন্ত্রপাতিসহ কোনো কিছুই বের করা যায়নি। এতে কারখানামালিকদের প্রায় ১৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকারের পক্ষ থেকে কিছু সহায়তা প্রয়োজন। স্বল্প সুদে ঋণ সহায়তা করলে কারখানাগুলো চালু থাকবে। না হলে অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, বন্যায় শুধু তাঁর প্রতিষ্ঠান সামছুদ্দিন টাওয়ালস লিমিটেডের ২ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। কারখানার সব যন্ত্রপাতি ও উৎপাদিত পণ্য নষ্ট হয়ে গেছে।
প্রতিবছর শিল্পনগরী থেকে সরকার ৫৭ কোটি টাকা ভ্যাট-ট্যাক্স পায় জানিয়ে সমিতির কোষাধ্যক্ষ আতাউর রহমান টিটু বলেন, ‘করোনার পর কারাখানাগুলো ঘুরে দাঁড়াতে সরকার প্রণোদনার প্যাকেজ ব্যবস্থা করেছিল। বন্যার পর এমন প্রণোদনার প্যাকেজ দিতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’ তিনি বলেন, বন্যার ৪ মাস অতিবাহিত হলেও কোনো সহায়তা মেলেনি। মালিক ক্ষতিগ্রস্ত হলে শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারেরও ক্ষতি হয়।’
ফেনী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ পরিচালক জালাল উদ্দিন বলেন, ‘দেশে রেমিট্যান্সের শীর্ষে অবস্থান করা ফেনীতে বন্যা–পরবর্তী তেমন সরকারি সহায়তা মেলেনি। ব্যবসায়ীদের না বাঁচালে উৎপাদন ব্যাহত হবে। সরকার জোরালোভাবে ব্যবসায়ীদের পাশে না দাঁড়ালে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে।’