রবীন্দ্রনাথের গানে মানুষ নিজেকে জানার সুযোগ পায়
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে বুধবার ছায়ানটে ‘তোমার খোলা হাওয়া’ শীর্ষক এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ ঢাকা মহানগর শাখা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক বলেন, হিংসায় উন্মত্ত এই পৃথিবী ও জীবনের জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে রবীন্দ্রনাথের গান আমাদের পাথেয়। তাঁর গানের বাণীর মাঝে নিজেকে জানার ও উপলব্ধির সুযোগ মেলে। এ কারণেই বাঙালি তথা সারা বিশ্বের মানুষের জন্যই রবীন্দ্রসংগীত এক অমূল্য সম্পদ।
সম্প্রতি রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের লেখা নারীর মুক্তিপ্রত্যাশী উপন্যাস ‘সুলতানাস ড্রিম’-এর ইউনেসকো কর্তৃক বিশ্বস্মৃতি বা ওয়ার্ল্ড মেমোরির তালিকাভুক্তি প্রসঙ্গে মফিদুল হক বলেন, বইটি সবার পাঠ করা উচিত। তাহলে উপন্যাসটির এই গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতির বিষয়টি উপলব্ধি করা যাবে।
রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের নির্বাহী সভাপতি আতিউর রহমান বলেন, সংগীতের পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আর্থসামাজিক চিন্তাকে সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে দিতে হবে। কারণ, সমাজ ও অর্থনীতি নিয়ে রবীন্দ্রনাথের ভাবনা আজও তুমুলভাবে প্রাসঙ্গিক।
অনুষ্ঠানে সম্মাননা প্রদান করা হয় বাংলা একাডেমির ‘রবীন্দ্র পুরস্কার’প্রাপ্ত শিল্পী লাইসা আহমদ লিসাকে। লাইসা আহমদ লিসা বলেন ‘ছোটবেলা থেকেই রবীন্দ্রনাথের গানসহ তাঁর সৃষ্টির ঐশ্বর্যকে সঙ্গী করে জীবনের পথে চলেছি। তাই রবীন্দ্র পদকপ্রাপ্তিতে আমি একই সঙ্গে আপ্লুত ও অভিভূত।’
সংস্কৃতি ভবনে বুধবার অনুষ্ঠান শুরু হয় সম্মেলক গানের সুরে। সবাই মিলে গেয়ে শোনান ‘প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে, মোরে আরও আরও দাও প্রাণ’ গানটি। পরের পরিবেশনায় ছিল মহানগর শাখার শিল্পীদের পরিবেশনায় ‘আকাশজুড়ে শুনিনু ওই বাজে তোমারই নাম সংগীত’।