পানছড়িতে ১১ দিনের ব্যবধানে আরও এক ইউপিডিএফ নেতাকে গুলি করে হত্যা
১১ দিনের ব্যবধানে খাগড়াছড়ির পানছড়িতে আরও এক ইউপিডিএফ নেতা দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হলেন। নিহত ইউপিডিএফ নেতার নাম মিটন চাকমা। তিনি দলের সংগঠক ছিলেন। আজ রোববার দুপুরের দিকে তাঁকে পানছড়ি বাবুরপাড়া এলাকায় গুলি করে হত্যা করা হয়।
মিটন চাকমা দীঘিনালা উপজেলাধীন উদোলবাগান গ্রামের সুশান্ত চাকমার ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পালি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর পাস করেন এবং পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে ২০২২ সালের নভেম্বরে ইউপিডিএফে যোগ দেন। ইউপিডিএফের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নিরণ চাকমা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানানো হয়।
ইউপিডিএফের খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মামরা বলেন, আজ দুপুর ১২টার সময় খাগড়াছড়ির পানছড়িতে জেএসএস সন্তু লারমা পক্ষের একটি সশস্ত্র দল ইউপিডিএফ সদস্যদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায়। এতে ইউপিডিএফ সংগঠক মিটন চাকমা নিহত হন। মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে এ হামলাকে ন্যক্করজনক ও কাপুরুষোচিত বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ হামলার মাধ্যমে তারা নিজেদের আবার খুনি বাহিনী হিসেবে প্রমাণ করল।
এ ব্যাপারে জানতে জেএসএসের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ঊষাতন তালুকদারের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
তবে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে পুলিশ কোনো তথ্য পায়নি বলে জানিয়েছে। জানতে চাইলে পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন বলেন, এ ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। খোঁজ নিয়ে জানানো হবে।
এর আগে গত ৩০ অক্টোবর পানছড়ির লতিবান ইউনিয়নের শান্তিরঞ্জন পাড়ায় মন্যা চাকমা ওরফে সিজন (৫০), খরকসেন ত্রিপুরা ওরফে শাসন (৩৫), পরান্টু চাকমা ওরফে জয়েন (২২) নামের চার ইউপিডিএফ নেতা-কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ছাড়া গত বছরের ১১ ডিসেম্বর পানছড়ি লোগাং ইউনিয়নের অনিলপাড়ায় দলটির চারজন খুন হন। ইউপিডিএফ দুটি ঘটনার জন্য ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিককে দায়ী করেছে।